বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রপ্তানি পণ্য হিসেবে প্লাস্টিক সেক্টরকে সরকার অগ্রাধীকার দিয়েছে। দেশের বর্তমান রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৮৪ ভাগ দখল করে আছে তৈরি পোশাক খাত, এটা খুবই ঝুকিপূর্ণ। তাই সরকার দেশের রপ্তানি পণ্যসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য প্লাস্টিক, চামড়া, কৃষি, আইসিটি এবং ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরকে অগ্রাধিকার দিয়ে রপ্তানি নীতি প্রণয়ন করেছে। এ সেক্টরগুলোকে টেকনিক্যাল প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় একশত মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
শনিবার ঢাকার একটি হোটেল ‘বাংলাদেশ প্লাষ্টিক গুডস ম্যান্যুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ আয়োজিত অনলাইনে চার দিনব্যাপী ‘১৫তম বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল প্লাষ্টিক, প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং ইন্ডাষ্ট্রি ফেয়ার-২০২১’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, স্থাপিত টেকনোলজি সেন্টারে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি, কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি করে আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে ৯০ হাজার দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, প্লাষ্টিক বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প, দ্রুত এ শিল্পের প্রসার ঘটছে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবসা-বাণিজ্যে দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। বিভিন্ন উন্নত দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করে বাণিজ্যে টিকে থাকতে হবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সরকার বিভিন্ন দেশের সাথে পিটিএ বা এফটিএ এর মতো চাণিজ্য চুক্তি করে বাণিজ্য সুবিধা নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইন্টারন্যাশনাল প্লাষ্টিক ফেয়ার (আইপিএফ) অনলাইন এক্সপো আগামী ৫-৮ জুলাই চলবে। এক্সপোতে ১৯টি দেশের প্রায় ৪৮৩টি প্লাষ্টিক কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, চীন, মিশর, ইথিওপিয়া, হংকং,ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, সুদান, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, তুরষ্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভিয়েতনাম রয়েছে। দর্শনার্থীগণ অনলাইনে যুক্ত হয়ে মেলার সকল পণ্য দেখার সুযোগ পাবেন এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।