দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা ধরে পুড়ছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানার ছয়তলা ভবনটি। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।
এদিকে নিখোঁজ শ্রমিকদের বিক্ষুব্ধ স্বজনের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
শুক্রবার (৯ জুলাই) সকালে, পুলিশ ও নিখোঁজ শ্রমিকদের বিক্ষুব্ধ স্বজনদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সকাল ১০টার দিকে কয়েকজন শ্রমিকের খোঁজ না পেয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তাদের স্বজনেরা। পুলিশের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা সংঘর্ষ চলে। এসময় ব্যাপক ভাংচুর চালায় বিক্ষুব্ধরা। এ সময় সংবাদ মাধ্যমের কিছু গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বর্তমানে কারখানা এলাকায় উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজমান রয়েছে।
এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (০৯ জুলাই) আগুন লাগার কারণ উদঘাটনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম বেপারীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে আছেন রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ নুসরাত জাহান, জেলার ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন, পুলিশের একজন প্রতিনিধি এবং কলকারখানা অধিদপ্তরের জেলার একজন কর্মকর্তা।