কিশোরগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলাম। দীর্ঘ ১৮ বছরের সাধনা শেষে গত ৫ বছর যাবত তার উদ্ভাবিত মোটরসাইকেলে করে প্রতিদিন কর্মস্থলে আসেন। এটি তৈরিতে তার খরচ পড়েছে এক লাখ টাকা।
প্রথমে বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল তৈরির যন্ত্রাংশ কিনেন তাজুল ইসলাম। পরে আদালতের নিজস্ব চেম্বারে কাজের ফাঁকে ফাঁকে ১২ ভোল্টের ৪টি ব্যাটারি, একটি বৈদ্যুতিক মোটরের সাথে ডায়নামো স্থাপন করে মোটরসাইকেলটি তৈরি করেন।
তার উদ্ভাবিত মোটরসাইকেলের চাকা চলার সাথে সাথে ডায়নামোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হবে ব্যাটারি। এর মাধ্যমে কোনো প্রকার জ্বালানি খরচ ছাড়াই যাওয়া যাবে দেশের যেকোনো প্রান্তে। যার চলার গতি হবে ৭৫ কিলোমিটার।
উদ্ভাবিত এই মোটরসাইকেল তৈরিতে মিতব্যয়ী হওয়ার পাশাপাশি দেশের যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলে মনে করেন এই আইনজীবী। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মোটরসাইকেলটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে তার।
তাজুল ইসলামের এই উদ্ভাবনকে স্বাগত জানিয়েছেন তার সহকর্মীরা। মোটরসাইকেলটি বাজারজাত করতে সরকারি সহায়তা চেয়েছেন তারা।
মোটর সাইকেল উদ্ভাবনে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা নেই। নিজ মেধার গুণে উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে মোটর সাইকেল তৈরি করা তাজুল ইসলামের পাশে থেকে পৃষ্ঠপোষকতা করবে সরকার- এমনটাই প্রত্যাশা সহকর্মীদের।