শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে এক কৃষকের ৬টি বসতঘর ভেঙে ধান-চাল খেয়ে সাবাড় করেছে বন্যহাতির দল। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা নাঁকুগাও স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ৩০-৩৫টি বন্যহাতির দল এ তাণ্ডব চালায়।শুক্রবার (৫ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নয়াবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘হাতি তাড়াতে গিয়ে গ্রাম পুলিশ নিরঞ্জন রবিদাস (৩৮) স্ট্রোক করে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন কৃষক। পাহাড়ে হাতির খাদ্যের ব্যবস্থা করা গেলে সীমান্তের মানুষ একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারতো।’
স্থানীয়রা জানান, খাদ্যের সন্ধানে প্রায়ই সীমান্ত ঘেঁষা বিভিন্ন এলাকায় নেমে আসছে বন্যহাতির দল। বুধবার রাতেও নাঁকুগাও স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় তাণ্ডব চালায় হাতির দল। এ সময় হাতিগুলো কৃষক রঞ্জিত ঘোষ, সিন্ধু ঢালু, নিরঞ্জন রবিদাস ও সুমন রবিদাসের ৬টি বসতঘর ভেঙে ফেলে। পরে ঘরে থাকা আসবাবপত্র গুড়িয়ে এবং ধান-চাল খেয়ে ও ছিটিয়ে নষ্ট করে। এ ছাড়া কৃষক রুপেন ঢালুর (৪৫) ২০ শতাংশ জমির আমন বীজতলা পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক রঞ্জিত কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার সারা বছরের খাওয়ুনের ধান-চাল আছিলো ঘরে। আত্তি (হাতি) তো ঘর ভাইঙ্গা ঘরের আসবাবপত্রসহ সব শেষ কইরা দিলো। অহন পরিবার লইয়া কি খামু।’
ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলক রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে হাতির দলটি নাঁকুগাও এলাকার পাহাড়ে অবস্থান করছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে বনবিভাগের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।’