এবারের বোরো মৌসুমে ফলন হয়েছে ভালো। কৃষকেরাও সময় মত ঘরে তুলতে পেরেছে ফলন। আছে পর্যাপ্ত সরবরাহও। কিন্তু এরপরও ঈদুল আজহার পর থেকে চট্টগ্রামে দফায় দফায় বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। পাইকারি বাজারে সব ধরনের চালে বস্তা প্রতি বেড়েছে ১শ থেকে ৩শ টাকা।
সরেজমিন দেখা যায়, পাহাড়তলি পাইকারী বাজারে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে প্রায় প্রতিটি আড়তে। কিন্তু এরপরও গত কয়েকদিনে সব ধরনের চালে বস্তা প্রতি বেড়েছে দাম। কেজিতে দুই টাকা বেড়ে প্রতি বস্তা মোটা সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে বাইশশো টাকা। একইভাবে বাড়তি স্বর্ণা, পারিজা, পাইজাম, মিনিকেটসহ সব সিদ্ধ ও আতপ চাল। দাম বেড়েছে জিরা ও নাজির শাইলেও। পাইকারদের দাবি, ধানের দাম বাড়ার অজুহাতে কুরবানির পর থেকে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে মিল মালিকরা।
পাইকারি বাজারে চালের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। নগরীর আগ্রাবাদ কর্ণফুলি মার্কেটে সবধরনের চালে কেজি প্রতি দুই থেকে ছয় টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। এতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।
এদিকে, কোন সংকট না থাকলেও চালের দাম বাড়ায় নাকাল সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের মোটা চালের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ভোক্তারা। আর এজন্য পর্যাপ্ত তদারকির ঘাটতিকেই দুষছে ক্যাব। বলছে, দাম স্বাভাবিক রাখতে মাঠ পর্যায়ে ধান সংগ্রহ থেকে প্রক্রিয়াজাত করে চাল বিক্রি পর্যন্ত নজরদারি জরুরি। চট্টগ্রামে চালের দৈনিক চাহিদা ৮শ থেকে ৯শ মেট্রিক টন।