নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় পুলিশ দেখে জুয়ার আসর থেকে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া হালিম মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার সকাল ৮টার দিকে কৈজানি নদীর মদন উপজেলার অংশের বাঁশরি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে, শুক্রবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার কান্দিউড়া ইউপির তাম্বূলিপাড়া এলাকার কৈজানি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। মৃত হালিম মিয়া উপজেলার সান্দিকোনার আব্দুল হামিদ মুন্সির ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার লিডার আশরাফ আলী এবং নিহত হালিমের বাবা আব্দুল হামিদ মুন্সি।
জানা যায়, উপজেলার তাম্বূলিপাড়া এলাকায় কৈজানি নদীতে ট্রলারে আসর বসিয়ে জুয়া খেলছিলেন কয়েকজন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ওই জুয়ার আসরে হানা দেয়। এ সময় জুয়াড়িরা গ্রেফতার এড়াতে নদীতে ঝাঁপ দেন। এরমধ্যে হালিম নামে এক যুবক নিখোঁজ হন। পরে স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। কেন্দুয়া ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় ময়মনসিংহ থেকে ডুবুরি দল এসে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। রোববার সকাল ৮টার দিকে কৈজানি নদীর মদন উপজেলার অংশের বাঁশরি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মদন থানার ওসি (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।