বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করলেন ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়রম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলি। রবিবার (১৮ আগষ্ট) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে তিনি পদত্যাগ করেন।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, ঈশ্বরদী থানা পুলিশের সদস্য, গণমাধ্যমকর্মীসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করলে টানা ১৩ দিন আত্মগোপনে থাকার পর আতিয়া ফেরদৌস কাকলী রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে অফিসে আসেন। এসময় উপজেলা পরিষদ চত্বর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে অংশ নেওয়া নারী শিক্ষার্থীদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে তাসনিম মাহাবুব প্রাপ্তি (রুয়েট), রাউফুল ইসলাম অন্তর (ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি), আসিফুল ইসলাম জারিফ (সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ), জারিন তাসনিম সিমি (বাকৃবি) নামের কয়েকজন সমন্বয়ক জানান, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রেলগেট এলাকায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আতীয়া ফেরদৌস কাকলী অস্ত্রধারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অবস্থান নিয়ে নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি, মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিটসহ ধর্ষণের হুমকি-ধমকি দিয়েছে। শুধু তাই নয় নানারকম দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গেও তিনি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তিনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে যাব না।
দাবির মুখে আতিয়া ফেরদৌস কাকলি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পদত্যাগপত্র দাখিল করেন। লিখিত পদত্যাগপত্রে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করলাম।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাশ বলেন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলির লিখিত পদত্যাগপত্র পেয়েছি। এটি পাবনার জেলা প্রশাসকের নিকট পাঠানো হবে।