দীর্ঘ ৩ মাস বন্ধ থাকার পর আবারও পর্যটক ও জেলে-বাওয়ালীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে সুন্দরবন।
নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করছেন পর্যটক ও জেলে-বাওয়ালীরা।
১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট এই ৩ মাস মূলত বনের গাছপালা, বন্যপ্রাণী, পশুপাখি ও মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় এই সময়টাতে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বনবিভাগ। প্রজনন মৌসুম নির্বিঘ্ন হওয়ায় এক নতুন রূপে এখন সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি।
বনবিভাগ সূত্র বলছে, সুন্দরবনের ৩১৯ প্রজাতির মাছ, ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা ও ১০৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী বেশির ভাগেরই প্রজননকাল ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট। এই সময়ে বনের গাছপালার বীজ থেকে চারা গজায়, এতে গাছের সংখ্যা বেড়ে থাকে। আর প্রজননের ফলে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায় প্রাণীজ ও জলজ সম্পদ। এই প্রজনন মৌসুম নির্বিঘ্ন করতেই সুন্দরবনের অভ্যন্তরে সব ধরনের নৌযান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়।
ফলে নির্দিষ্ট এ সময়ে বনে প্রবেশ থেকে বিরত রাখা হয় বননির্ভরশীল জেলে-বাওয়ালীদের। সেইসঙ্গে শব্দ ও পরিবেশ দূষণ রোধে বন্ধ থাকে পর্যটকবাহী পরিবহনও।
এ বিষয়ে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, ‘প্রজনন মৌসুমের ৩ মাসে বনের প্রাণপ্রকৃতিতে ভিন্নতা এসেছে। গাছের চারা গজিয়ে সবুজে সমারোহ হয়েছে বন। আর বন্যপ্রাণীর প্রজননে বংশবিস্তারও ঘটেছে ব্যাপকভাবে। সেইসঙ্গে মাছের প্রজনন বাড়ায় নদী-খালে বেড়েছে মাছও। সবমিলিয়ে এ যেন এক সমৃদ্ধ সুন্দরবন।’