বগুড়ায় ধুনট উপজেলার নশরতপুর গ্রামে আট বছরের শিশু কন্যা তাবাসসুম ধর্ষন ও চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় মাত্র ১২ দিনে রহস্য উদঘাটন সহ ৪ জন মূল আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা ধর্ষণ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন,একই গ্রামের বাপ্পি আহম্মেদ,কামাল পাশা,শামীম রেজা ও লাবলু শেখ।
সকালে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুইয়া।
এ সময় তিনি জানান, আসামী বাপ্পি’র পরিবারের সাথে ভিকটিম তাবাসসুমের বাবা খোকনের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘটানার প্রায় ৩ মাস পুর্ব থেকেই তাবাসসুমকে হত্যা করে প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করে।পরে ঘটনার দিন গত ১৪ ডিসেম্বর স্থানীয় লোকজনের আয়োজনে ইসলামী জলসার চলাকালীন সময়ে রাত ৯টায় বাদাম কিনে দেয়ার লোভ দেখিয়ে তাবাসসুমকে ফুসলিয়ে হাজী কাজেম জুবেদা টেকনিক্যাল কলেজে নিয়ে যায় এবং সেখানেই আসামীরা ৪ জন পালাক্রমে মুখ চেপে ধরে ধর্ষন করে।
একপর্যায়ে তাবাসসুম অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের ফলে নিস্তেজ হয়ে পড়লে বাপ্পি গলা টিপে তাকে হত্যা করে এবং কাটিং প্লাস দিয়ে তার হাতের আঙ্গুল কেটে দেয় যাতে সবাই মনে করে কোন জন্তুর কামড়ে মৃত্যু হয়েছে। এলাকার লোকজন মৃত তাবাসসুমকে উদ্ধারের সময় তার গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্ত ঝরছিলো এবং বুকে ও গালে কামড়ের দাগ ছিলো।
উল্লেখ্য তাবাসসুম পাচথুপি নশরতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন।তার বাবা-মা ঢাকায় গার্মেন্টস এ চাকুরী করতেন এবং শিশু তাবাসসুম দাদা-দাদীর সাথে থেকে পড়াশুনা করতেন।