কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেক পোস্ট ও শুল্ক বন্দরে অবকাঠামো না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ী ও ভ্রমণকারীদের। বন্দর ব্যবহারকারীদের আশা, পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর এবং ট্রানজিট সুবিধা বাড়ালে জেলার আর্থসাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে রৌমারী শুল্কবন্দর।
রৌমারী উপজেলা শহর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে জিঞ্জিরাম নদীর উপর ১৯৫৯ সালে রৌমারীর ফুলবাড়ি চরে গড়ে ওঠে রৌমারী শুল্ক বন্দরটি। ভারতের আসামের ধুবরি জেলার মানকার চর ও মেঘালয় রাজ্যের সীমানা লাগোয় এ বন্দরটি দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকার পর ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে পুনরায় চালু করে। যোগাযোগ ব্যবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় এই আন্তর্জাতিক চেক পোস্টটি দিয়ে দু দেশের ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানী-রপ্তানী করছেন।
ব্যবসায়রিা মনে করেন ভারত; বাংলাদেশের অভ্যন্তর দিয়ে টাঙ্গাইলের অ্যালেঙ্গা হয়ে যশোরের বেনাপোল ট্রানজিট সুবিধা পেলে মাত্র ১৫ থেকে ২০ ঘন্টা পৌঁছেবে তাদের পণ্য। এতে করে সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে। এ শুল্ক বন্দরটিকে পুর্ণাঙ্গ স্থল বন্দর করা হলে যে কোন পণ্য দ্রুত সময়ে বাংলাদেশের যেকোন স্থানে পাঠানো সম্ভব হবে।
বর্তমানে শুল্ক বন্দরটিতে ২ থেকে ৩ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। শ্রমিকদের দাবী দ্রুত শুল্ক বন্দরটিকে স্থলবন্দর করা হলে আরো ১০ থেকে ১৫ হাজার শ্রমিকের কাজের সুযোগ তৈরি হবে।
পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর পরিণত হলে কর্মসংস্থান বাড়ার পাশাপাশি পণ্যের দাম কমে আসবে। এছাড়াও ভারত-বাংলাদেশ ট্রানজিট ব্যবস্থা চালু হলে জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্বর্পণূ ভূমিকা রাখবে এ রৌমারী শুল্ক বন্দর।
রৌমারির সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা জানান, আমদানী-রপ্তানীতে পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারলে সরকারের রাজস্ব বাড়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে।
বন্দরটিকে পূর্ণাঙ্গ স্থল বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হবেন বলে জানালেন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন।
দেশের অন্যান্য বন্দরের চেয়ে রৌমারীর সাথে ঢাকার কম দূরত্ব কম হওয়ায় এটি পূর্ণাঙ্গ স্থল বন্দর হিসেবে চালু হলে পণ্য পরিবহন খরচ এবং সময় দুটোই অর্ধেক কমে আসবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি