ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে স্ত্রীকে সহযোগিতা করার সন্দেহে বাবুল (৪০) নামে একজনের বিরুদ্ধে ভায়রাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম সাদ্দাম হোসেন (২৬)। এ ঘটনায় গ্রেফতারের পর সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বাবুল।পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শচীন চাকমা এসব তথ্য জানান।
বাবুল নেত্রকোনার খায়ের বাংলা গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে। নবীনগরের বিদ্যাকুট ইউনিয়নের বিদ্যাকুট গ্রামের ছাত্তার মিয়ার ছেলে সাদ্দাম।
শচীন চাকমা জানান, শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের আশরাফপুর বিল থেকে সাদ্দামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তদন্ত শুরু হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বাবুলকে শনাক্তের পর গ্রেফতার করা হয়েছে।
জবানবন্দিতে বাবুল জানায়, প্রায় ১০ বছর আগে উপজেলার কৃষ্ণনগরের এক নারীকে বিয়ে করে সে। তাদের সংসারে সাত বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। কাদির নামে নরসিংদীর এক ব্যক্তির সঙ্গে তার স্ত্রীর বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা পালিয়ে নবীনগর আসে। বিয়ে না করেও তারা সংসার করে। এতে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়। এসবে সহায়তা করে সাদ্দাম, তাই ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার তাকে হত্যা করে বাবুল।
শচীন চাকমা বলেন, ‘হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে নবীনগর থানায় মামলা করেন সাদ্দামের ভাই। তদন্তে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় বাবুলকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’