ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার নিমবাড়ি গ্রামে রহিজ মিয়া (৩৮) হত্যাকাণ্ডে আসামি জজ মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ মামলার অপর সাতজন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বাকি নয়জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আয়েশা আক্তার সুমি এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে মামলার ৪ নম্বর আসামি খোকন মিয়াকে এক বছরে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরো দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলার অপর আসামি ইয়াসিন মিয়া, খোকন মিয়া, পারভেজ মিয়া, মনির মিয়া, আওয়াল মিয়া, আশরাফুল মিয়াকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ইয়াছিন মিয়া, খোকন মিয়া ও আশরাফুল মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
এ মামলায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় জমসিদ মিয়া, আকবর মিয়া, ছোট মিয়া, রুবেল মিয়া, সাদের মিয়া, আব্দুল আজিজ, ফুরকান মিয়া, নিজাম মিয়া ও ফরিদ মিয়াকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার প্রধান আসামি কসবা উপজেলার নিমবাড়ি এলাকার জমসিদ মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার রহিজ মিয়া এবং তার চাচা নাবালক মিয়ার সঙ্গে জমি-জমাসহ নানা বিষয় নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে গত ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল সোমবার সকালের দিকে কসবা নিমবাড়ি গ্রামের রহিজ মিয়া এবং তার চাচা শ্বশুর নাবালক মিয়া স্থানীয় বাদৈর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নিমবাড়ি জমসিদ মিয়ার বাড়ির কাছে আসলে, আগে থেকে ওত পেতে থাকা জমসিদ মিয়া, তার ছেলে ও নাতিরা মিলে রহিজ মিয়া এবং নাবালক মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে উভয়েই গুরুতর আহত হন। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রহিজ মিয়া।
এ ঘটনায় রহিজ মিয়ার স্ত্রী নার্গিস বেগম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় একই বছরের ২৬ অক্টোবর পুলিশ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আজ সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এ রায় দেন আদালত।