চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজন মারা গেছেন। এনিয়ে গত বুধবার থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত পাঁচ জন মারা গেলেন।
চট্টগ্রামের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ মজুমদার বলেন, আজ রাত ৩টার দিকে আমরা ফটিকছড়িতে পানিতে ডুবে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাই।
এর আগে ফটিকছড়িতে পানিতে ডুবে দুই জন, হাটহাজারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন এবং রাঙ্গুনিয়ায় পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়।
এদিকে হালদা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নামলেও চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার অনেক এলাকা এখনো পানির নিচে।
বিশেষ করে ফটিকছড়িতে ১ লাখের বেশি মানুষ এখনো পানিবন্দি আছে বলে জানিয়েছেন ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত নারায়ণহাট পয়েন্টে হালদা বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও নারায়ণহাট, ভুজপুর, পাইন্দং, লেলাং, সমিতিরহাট, হারুয়ালছড়ি, সুবিলসহ ফটিকছড়ির অধিকাংশ নিচু এলাকা এখনও পানির নিচে।
এ ছাড়া হেঁয়াকো থেকে ফটিকছড়ি, ঝংকার মোড় থেকে রাউজান, নাজিরহাট থেকে কাজিরহাটসহ আরও কয়েকটি এলাকার সড়ক যোগাযোগ এখনো চালু হয়নি।
চট্টগ্রামের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ মজুমদার জানান, চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এখনও ২ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।