রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক অধ্যাপকের পথরোধ করে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা (৫৩) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে ওই শিকক্ষককে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষক রাত ৯টার দিকে নগরীর মতিহার থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় রাতেই একজনকে গ্রেপ্তার করে মতিহার থানা পুলিশ।
রাবি অধ্যাপককে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে মো. মিনহাজ আবেদীন(৩৯) এবং মো. মোশাররফ হোসেনের ছেলে মো. মোসাদ্দেক হোসেন রাতুলের (২৭)। দুজনই রাজশাহীর তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী শিক্ষক উল্লেখ করেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজ বাড়ি ফেরার পথে রুয়েটের মূল ফটকের বিপরীত পাশে মো. মিনহাজ আবেদীন ও মো. মোসাদ্দেক হোসেন তার গাড়ির সামনে এসে মোটরসাইকেল থামিয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাকে গাড়ি থেকে বের হতে বাধ্য করেন। গাড়ি থেকে নামার পর মুখে ও বুকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে পালিয়ে যান।
এ সময় ভুক্তভোগী তাদের পিছু নেন। তখন তারা মোটরসাইকেল থামিয়ে আবারও গালিগালাজ করেন। তাদের মোটরসাইকেলের নম্বরপ্লেট দেখতে গেলে একজন মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান এবং অন্যজন তাকে মারধর করেন। তখন স্থানীয় জনগণ তাকে রক্ষা করেন। এ ছাড়া অভিযুক্তরা পালানোর সময় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করেন তিনি।
মুহাম্মদ আলী রেজা বলেন, এর পেছনে অন্য কারো হাত থাকতে পারে। তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আমার সাথে এমন আচরণ করতে পারে। আমি দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক শেখ মো. মোবারক পারভেজ বলেন, গতকাল রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষক থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে আমরা সঙ্গে সঙ্গে অভিযান শুরু করি এবং রাতের মধ্যেই একজনকে আটক করেছি। অন্য অভিযুক্তকে আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারা কেন এমন কাজ করেছে, তা খতিয়ে দেখা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।