ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ দেখা যায়নি। বুধবার (১২ জুন) রাতে পরিবহনের অতিরিক্ত চাপ ও এলেঙ্গা হতে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব অংশের বিভিন্নস্থানে ছোটখাটো দুর্ঘটনার কারণে ১৩ কিলোমিটার অংশে ধীরগতি থাকলেও রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে স্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, ভুঞাপুর লিঙ্ক রোড, সেতুপূর্ব এলাকায় কোনো যানজট দেখা যায়নি। ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার এলাকায় পরিবহনের ধীরগতি থাকলেও কোনো যানজট ছিল না। তবে সড়কে পরিবহনের চাপ বাড়তে পারে।
এদিকে কোরবানি ঈদে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে ঘরমুখো মানুষজন পরিবার-পরিজন নিয়ে ব্যক্তিগত যানবাহন, মোটরসাইকেল ও খোলা ট্রাকযোগে গন্তব্যে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় সেতুতে টোল আদায় বেড়েছে। এ সময় ৩০ হাজার ৮৩৪টি পরিবহন সেতু পারাপার হয়েছে। এর বিপরীতে টোলপ্লাজায় টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৮২ লাখ ৭২ হাজার ৯৫০ টাকা। পরিবহনের মধ্যে গরুবাহী ট্রাক, ব্যক্তিগত যানবাহন ও মোটরসাইকেল সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে।
মহাসড়কে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা জানায়, মধ্যরাতে সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে গিয়েছিল। তাছাড়া মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে ছোটখাটো একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ফলে ওই সব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহনগুলো সরাতে সময় লাগায় মহাসড়কে পরিবহনের ধীরগতির সৃষ্টি হয়। তবে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা পরিবহনগুলোকে সেতুপূর্ব গোলচত্ত্বর থেকে ঘুরিয়ে ভুঞাপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে। ফলে মহাসড়কের এলেঙ্গা হতে সেতুপূর্ব পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়ক একমুখী করা হয়েছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, এলেঙ্গা থেকে সেতুপূর্ব পর্যন্ত সড়ক একমুখী করার কারণে কোনো ধীরগতি নেই মহাসড়কে। স্বাভাবিক গতিতেই পরিবহনগুলো চলাচল করছে। কোথাও কোনো যানজট বা পরিবহনের ধীরগতি নেই।