রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গত দুইদিন ধরে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত থেকে ২ আগস্ট শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত টানা দুইদিন ভারি বর্ষণ হয়েছে, এখনো থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কা।
টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে নতুন বাজার ঢাকাইয়া কলোনি, লগ গেইট, ওয়াগ্গার শিলছড়ি ও মিতিঙাছড়িসহ রাইখালী নারানগিরির বিভিন্ন স্থান। এই স্থানগুলিতে ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশ ও চূড়ায় বসবাস করছেন প্রায় ৫০০ পরিবার।
সময় সংবাদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, কাপ্তাই লক গেইট, নতুন বাজার ঢাকাইয়া কলোনি, কেপিএম টিলা, স্বর্ণটিলা নামক এলাকায় যারা ঝুঁকি ও দখল নিয়ে বসবাস করছে, এসব জায়গার মালিক হচ্ছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলাদেশ বন বিভাগ। এ দুটি বিভাগের প্রায় তিন একর জমি দখলে নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করা থেকে শুরু করে অসংখ্য বসতি গড়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কাপ্তাই ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের সময় সংবাদকে বলেন, ‘পিডিবির সীমানা নির্ধারণ করে প্যারা বাউন্ডারি সীমানা নির্মাণের প্রয়োজনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে।’
অপরদিকে কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা এ এস এম মহিউদ্দিন জানান, বন বিভাগের বেহাত হওয়া জায়গা উদ্ধার ও পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার প্রয়োজনে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া দেখা দিলে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে উদ্বুদ্ধ করা হয় ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িঘর থেকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য। কাপ্তাই উপজেলাধীন পাঁচটি ইউনিয়নে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।’