ফেনীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ৮ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে বিএনপি। গতকাল জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নিহতদের কবর জিয়ারত করে পরিবারের সদস্যদের হাতে এ অনুদান তুলে দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
গতকাল দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নে নিহত সরোয়ার জাহান মাসুদের কবর জিয়ারত করে তার বাবার হাতে অনুদানের অর্থ তুলে দেন আব্দুল আউয়াল মিন্টু। পরে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া এলাকার নিহত ওয়াকিল আহমেদ শিহাব, উত্তর ফাজিলপুরের ছাইদুল ইসলাম, সোনাগাজীর জাকির হোসেন শাকিব, মাহমুদুল হাসান, শহরের বারাহীপুরের ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ ও পরশুরামের রাজষপুর এলাকার ইকরাম হোসেনের কবর জিয়ারত করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বিএনপির পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেন।
এ সময় আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, প্রায় দেড় যুগের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছে ছাত্রসমাজ। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশ আজ স্বৈরাচারমুক্ত। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এ সফল অভ্যুত্থানে অনেকগুলো তাজা প্রাণ হারাতে হয়েছে। তাদের এ ত্যাগ কোনোভাবে বৃথা যেতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের কবর জিয়ারত করছি, তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করছি। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ভিপি, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুন, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাহেনা আক্তার রানু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু তালেব, মশিউর রহমান বিপ্লব, কৃষকদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক শাহজান মিয়া সম্রাট, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম-আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমান উদ্দিন সাব্বির, সদস্য সচিব ফজলুল রহমান বকুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম মিলনসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।