গাজীপুরের শ্রীপুরে চম্পা বেগম (৩০) নামের এক পোশাক শ্রমিককে তাকওয়া পরিবহনের একটি চলন্ত মিনিবাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা কয়েকটি বাস ভাঙচুর করেন। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ৯টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর উপজেলার এমসি বাজারের (তাহের সিএনজি পাম্পের) সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত চম্পা বেগম ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার নিজগাঁও গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী এবং একই গ্রামের সুরুজ আলীর মেয়ে। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সড়কের পাশের দোকানদার হাদিউল ইসলামের বরাত দিয়ে নিহতের ভাতিজা সুমন মিয়া জানান, চম্পার ছোট বোন উপজেলার নয়নপুর এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। শুক্রবার তার বাবা ছোট বোনের নয়নপুরের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন। ওই দিন কারখানা সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় চম্পা তার বাবাকে দেখতে ছোট বোনের বাসায় আসেন। বাবার ও ছোট বোনের সঙ্গে দেখা ও কথা শেষে নয়নপুর থেকে মাস্টারবাড়ি তার বাসায় যাওয়ার জন্য তাকওয়া পরিবহনের মিনিবাসে ওঠেন। বাস ছেড়ে দিলে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে চালকের সহকারীর (হেলপার) সঙ্গে চম্পার বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হেলপার চম্পাকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। চম্পার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাওনা চৌরাস্তার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি কংকন কুমার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ওই মিনিবাস, চালক ও হেলপারকে (চালকের সহকারী) শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীর লাশ পায়নি। নিহতের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ চলমান আছে।