1. junayed@bijoy.tv : বিজয় নিউজ ডেস্ক : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক
  2. boe01@bijoy.tv : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক
  3. rafi@bijoy.tv : বিজয় নিউজ ডেস্ক : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক
  4. rubel@bijoy.tv : support_admin :
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী
ঢাকা শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০২:১৮ অপরাহ্ন

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

বিজয় টিভি নিউজ
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।

সোমবার সকালে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি চিলমারী পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৪৭ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া তিস্তার পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদ সীমার বরাবর দিয়ে।

জেলার নয় উপজেলার ৫৬ ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় অনেকেই রাস্তা ও বাঁধের ওপর আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। ভেঙে পড়েছে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ।

এদিকে, ধরলা নদীর পানির প্রবল চাপে সদর উপজেলার সারডোবে একটি বিকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, জেলার ১৯ পয়েন্টে নদী ভাঙন চলছে। এর মধ্যে ১১ পয়েন্টে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধারের জন্য নৌকা ও স্পিডবোট প্রস্তত রাখা হয়েছে। স্কুল ও মাদ্রাসাসহ ৪৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে ৪০০ মেট্রিক টন চাল ও ১১ লাখ টাকা ত্রাণ সহায়তা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’

এদিকে, সুনামগঞ্জেও বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বন্যার পানিতে পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে নোয়াগাঁও, নলুয়ারপাড়, হরিনগর, জগন্নাথপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।

বন্যার পানির তোড়ে অনেক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা। বেশিরভাগ মানুষের ঘরেই পানি ঢুকে পড়ায় খাটের ওপর চুলায় আগুন ধরাতে হচ্ছে। অনেকেই আবার দিন পার করছেন শুকনো খাবার খেয়ে।

গৌরারং ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি রেজাউল করিম জানান, সেখানকার গ্রামগুলো এমনভাবে প্লাবিত হয়েছে যে নিরাপদ আশ্রয় নেয়ার জায়গাও নেই। বেশির ভাগ মানুষই খাবার সংকটে ভুগে ত্রাণের জন্য হাহাকার করছেন।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও সদর উপজেলার অন্তর্গত সদরপুর গ্রামে সুরমা নদীর পানি প্রবেশ করায় সেখানকার শতভাগ ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। জামালগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নই বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন স্বজনদের বাড়িতে। গ্রামের ভেতর এখন চলাচল করতে হয় নৌকা দিয়ে। বন্যার্তদের পাশে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন শুকনো খাবার বিতরণ করলেও, প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল বলে জানান স্থানীয়রা।

জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে নগদ আট লাখ টাকা, ৩৪৫ মেট্রিক টন চাল, দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। সূত্র: ইউএনবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

সাম্প্রতিক পোস্ট

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
© সর্বসত্ব সংরক্ষিত ২০২৫ বিজয় টিভি || All Rights Reserved.