চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সাড়ে চার মাসের সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৯৭ জনের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। সংক্রমণের হার ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। এদিন করোনাক্রান্ত একজনের মৃত্যুও হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার শনাক্ত জীবাণুবাহকের সংখ্যা জুন মাসের পর সর্বোচ্চ। এর আগে ১৬ নভেম্বর সংক্রমিতের সংখ্যা সাম্প্রতিক সময়ের সর্বোচ্চ ১৮১ জন হয়েছিল। সেদিন সংক্রমণ হারও ছিল সাড়ে চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি (১৭ দশমিক ১৪ শতাংশ)। ১৯ নভেম্বর প্রকাশিত রিপোর্টে ১৬১ জনের নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্তের তথ্য জানানো হয়। সংক্রমণ হার ছিল ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ। ১৮ নভেম্বর ১৭৮ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে, হার ছিল ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ১৭ নভেম্বর সংক্রমিত ১৫৭ জন ও হার ১১ দশমিক ৪২ শতাংশ নির্ণিত হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ১ হাজার ৪৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ১৯৭ জন পজিটিভ শনাক্ত হন।
এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৭৮ জন ও এগারো উপজেলার ১৯ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারী ও পটিয়ার ৪ জন, ফটিকছড়ি ও সন্দ্বীপে ২ জন, সীতাকুণ্ড, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, আনোয়ারা, বাঁশখালী ও লোহাগাড়ার ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ২৩ হাজার ৪১৯ জন। এর মধ্যে শহরের ১৭ হাজার ৪৭৩ ও গ্রামের ৫ হাজার ৯৪৬ জন।
বৃহস্পতিবার করোনাক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৩১২ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ২১৮ জন ও বিভিন্ন উপজেলার ৯৪ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৫০৫ জন। এতে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ১৮ হাজার ২৯৭ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭ জন,বাসায় থেকে ১৪ হাজার ৯০০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২৮ জন। ছাড়পত্র নেন ২৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ১৭২ জন।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি