চট্টগ্রামে নতুন করে ২২৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণ হার ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ। এ সময়ে এক করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার শনাক্ত জীবাণুবাহকের সংখ্যা জুন মাসের পর একদিনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২৩ নভেম্বর সংখ্যা ও হার দু’ক্ষেত্রেই সংক্রমণ পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়। সেদিন ২৪২ জন জীবাণুবাহক শনাক্ত হন।
সংক্রমণ হার ছিল ১৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। তবে এদিন কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি। সংক্রমণের ক্রমবর্ধমান ধারায় এর আগে ১৯ নভেম্বর ১৯৭ জন, ২৪ নভেম্বর ১৮৩ জন, ১৬ নভেম্বর ১৮১ জন, ১৮ নভেম্বর ১৭৮ জন, ও ১৭ নভেম্বর ১৫৭ জন ভাইরাসবাহক শনাক্ত হন। তবে গত ২৫ নভেম্বর ১০৬ জন ও ২২ নভেম্বর ৬৪ জন পজিটিভ চিহ্নিত হন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, বুধবার নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এতে নতুন ২২৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ। এতে শহরের বাসিন্দা ১৮৬ জন এবং আট উপজেলার ৩৭ জন। ফলে জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২৪ হাজার ৩৮২ জন।
সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ১৮ হাজার ২৮৬ জন ও বিভিন্ন উপজেলার গ্রামের ৬ হাজার ১১২ জন। উপজেলা পর্যায়ে বুধবার শনাক্ত ৩৭ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীতে ১৩ জন, ফটিকছড়িতে ৯ জন, রাউজানে ৫ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৪ জন, সীতাকু- ও মিরসরাইয়ে ২ জন করে এবং বাঁশখালী ও সন্দ্বীপে ১ জন করে রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু হয়। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৩১৮ জন। এর মধ্যে ২২৪ জন শহরের ও ৯৪ জন গ্রামের। সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয় ৪৩৪ জনকে। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ২০ হাজার ৭৪৯ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৪৫১ জন ও বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ১৬ হাজার ৮৬৪ জন। হোম আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ৪৩ জন ও ছাড়পত্র নেন ৩৬ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১২৪৫ জন। (বাসস)