নামি-দামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি নির্ভরশীলতা কমাতে প্রান্তিক এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সকালে নগরের চশমা হিলের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়েদের স্কুলে না পাঠানো নিয়ে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বক্তব্যে, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নারীরা শিক্ষায় এখন অনেক এগিয়ে। কারও ব্যক্তিগত অভিমত এই অগ্রযাত্রায় প্রভাব ফেলবে না। বর্তমান সরকার নারী শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষানীতি প্রণয়ন বা শিক্ষা, পরিচালনা বা শিক্ষা খাতে কোনো নির্বাহী দায়িত্বে নেই। যেহেতু যেকোনো নাগরিকেরই বাক্স্বাধীনতা আছে, তার মনের ভাবনা প্রকাশ করার অধিকার আছে। তিনিও দেশের নাগরিক হিসেবে তাঁর নিজের একটা বিশেষ মতামত দিয়েছেন। সেটা আমাদের রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠন করতে আমাদের বাধ্য করেছে। আমরা অবশ্যই ইসলামের অনুশাসন মেনে চলব, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাঁদের অনুশাসন মেনে চলবেন। অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ কারিকুলাম অত্যন্ত প্রয়োজন। পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষার মানোন্নয়নও খুবই প্রয়োজন। এতে সামাজিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবে না। পড়াশোনা যদি সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যৎ নয়, নিকট ভবিষ্যতেও আমাদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে পড়বে।’
পাঠ্যপুস্তকে প্রগতিশীলদের লেখা বাদ দিয়ে সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন লেখা সংযুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়ায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের অপতৎপরতা রোধে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি