পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে চাচােেতা ভাইকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় জেল খাটানোর অপরাধে স্বপন দাশ নামে এক আসামিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ার) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল-ইমরান খানের আদালত এ আদেশ দেন বলে জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাব উদ্দিন আহমেদ।
স্বপন দাশ সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর বাহ্মণডেঙ্গা এলাকার দেবেন্দ্র জলদাশের ছেলে। আর ঘটনার শিকার অমর দাশ একই এলাকার রেবতী জলদাশের ছেলে।
পুলিশ কর্মকর্তা কাজী শাহাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে চাচােেতা ভাইকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় জেল খাটানোর অপরাধে স্বপন দাশকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।’
সদরঘাট থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, ‘২০০৪ সালের আগস্টে নগরের ডবলমুরিং থানার সানাই কমিউনিটি সেন্টারের সামনে বন্দুকযুদ্ধের পর পায়ে গুলিবিদ্ধ স্বপন দাশকে আটক করে র্যাব। এ ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা হয়। মামলায় তিন বছর জেল খেটে ২০০৭ সালে জামিনে বের হন স্বপন দাশ। মামলা দায়েরের সময় স্বপনকে যখন তার নাম জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন সে অমর দাশ বলে জানিয়েছিল।
পরে দু’টি মামলার এজাহারে তার নাম ছিল অমর দাশ। ২০১৭ সালে অস্ত্র মামলায় ১৭ বছর এবং বিস্ফোরক আইনে ৫ বছরসহ মোট ২২ বছরের সাজা হয় অমর (স্বপন) সহ অন্য আসামিদের।’ ‘গত বছরের ৫ জুলাই অমরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে কারাগারে গিয়ে ২০০৪ সালে গ্রেফতার হওয়া আসামির শনাক্তকরণ চিহ্ন মেলানো হয়। কিন্তু শনাক্তকরণ চিহ্নে মিল পাওয়া যায়নি।
এরপর ওই মামলায় কারাগারে থাকা আসামি মতিনকে দিয়ে অমরকে শনাক্ত করা হয়। তখন মতিন জানায় ২০০৪ সালে গ্রেফতার হওয়া আসামি আর অমর একই ব্যক্তি নন। অমরের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর স্বপনকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়। ১৩ আগস্ট রাতে সকালে কদমতলী এলাকা থেকে স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়। ১৪ আগস্ট স্বপন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।’
কোনো অপরাধ ছাড়াই চার মাস জেল খেটে সদরঘাট থানা পুলিশের সহায়তা ও উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত বছরের ১১ নভেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পান অমর দাশ।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি