কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, অঞ্চলভেদে ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকদেরকে দেয়া হচ্ছে। ভর্তুকি দেয়ার পরও একটি কম্বাইন হারভেস্টার কিনতে ১০-১৫ লাখ টাকা কৃষককে দিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে কৃষক যন্ত্র কিনতে পারে না। সেজন্য, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে যাতে কৃষকেরা কৃষিযন্ত্র কেনায় সহজ শর্তে ঋণ পেতে পারে, সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, সংস্থাপ্রধানগণ, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের পরিচালক বেনজীর আলম এবং কৃষিযন্ত্র প্রস্তুতকারী, নির্মাতা ও আমদানিকারকদের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষিকে আধুনিকায়ন ও লাভজনক করতে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প হলো তার অনন্য উদাহরণ। এটি সারা বিশ্বে একটি বিরল ঘটনা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষিতে নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। দেশে কৃষিতে নতুন বিপ্লব ঘটবে। কৃষি লাভজনক হবে ও গ্রামীণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হলো পর্যায়ক্রমে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র তৈরি করা। বর্তমানে বেশির ভাগ যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তা আমরা কমিয়ে আনতে চাই। এছাড়া, স্থানীয়ভাবে খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি ও মেরামত কারখানা তৈরিতে গুরুত্ব দিচ্ছি যাতে করে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়। মন্ত্রী এ বিষয়ে কৃষিযন্ত্র প্রস্তুতকারী, নির্মাতা ও আমদানিকারকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। কৃষিযন্ত্র প্রস্তুতকারী ও আমদানিকারকরা কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে তাদের জন্য ব্যাংক ঋণ, কৃষকের জন্য ঋণ ও গ্রামের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদেরকে কৃষিযন্ত্র বিতরণের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।