গতকাল মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সংগীতশিল্পী, নির্মাতা ও সঞ্চালক হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল মারা গেছেন। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এদিন বনানী কবরস্থানে সংগীতশিল্পীকে দাফন করা হয়।
৩০ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জুয়েল। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পীর পরিবারের সদস্যসহ সংগীত অঙ্গনের অনেকে। এর আগে আসরের নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে হয় জুয়েলের নামাজে জানাজা।
দীর্ঘ সময় ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসাসেবাও চলছিল।
এর আগে জুয়েলের স্ত্রী সংগীতা আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, অক্টোবর থেকে তাকে প্যালিয়েটিভ কেয়ারে রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে সম্প্রতি তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টেও রাখা হয়।
জুয়েলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে তার লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও ক্যানসার সংক্রমিত হয়। তখন থেকেই দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসাসেবা চলছিল।
জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে (১৯৯৪)’, ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯) এবং ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)।