দেশের পট পরিবর্তনের পর বেড়ে চলেছে মব জাস্টিস। যাকে বলা হয় গণপিটুনি বা নির্যাতন। যেখানে অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশের দায়িত্ব নিয়ে শান্তি ফেরানোর চেষ্টায় অনড়, সেখানে কিছু অতি উৎসাহী জনতা এই মব জাস্টিস ঘটিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
সম্প্রতি দেশব্যাপী বেশ কিছু মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটেছে। আর সে বিষয়গুলো নিয়ে সরব হয়েছে ঢাকার শোবিজ অঙ্গন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘটে যাওয়া মব জাস্টিসের ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন তারা। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ হতে দেখা গেছে নির্মাতা আশফাক নিপুন, ঢাকাই চিত্রনায়িকা পরীমণি, সংগীতশিল্পী এলিটা করিমসহ অনেককে।
শুক্রবার সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারীকে কান ধরিয়ে ওঠাবসা করাচ্ছে একদল উৎসাহী জনতা। তাদের তোপের মুখে পড়ে ওই ভুক্তভোগী নারী কানে হাত দিয়ে ওঠাবসা করতে অপারগতা প্রকাশ করছেন। কিন্তু, সেখানে উপস্থিত এক যুবক লাঠি দিয়ে ওই নারীকে আঘাত করেন। সেই লাঠির আঘাত থেকে রক্ষা পেতে ভুক্তভোগী ওই নারী কান ধরে ওঠাবসা করছেন। শুধু তাই নয়, পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জনতারা ওই নারীর কান ধরে ওঠাবসার গণনাও করছিলেন। এ ঘটনাটি কক্সবাজারে ঘটেছে বলে জানা গেছে।
সেই ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করেন পরীমণি। ভিডিওতে ঘটে যাওয়া সেই নারীকে নির্যাতনের ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেন তিনি। প্রতিবাদ জানিয়ে পরীমণি লেখেন, ‘মানে! আপনারা এসব হতে দিচ্ছেন! আসলেই!’
এদিকে মব জাস্টিসের এ ঘটনায় রীতিমতো নিন্দা প্রকাশ করেন নির্মাতা আশফাক নিপুন। দেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মাজার ভাঙচুর, নেতাকর্মীদের হত্যা, মন্দির ভাংচুর এমনকী কক্সবাজারে ঘটে যাওয়া সেই নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়েও অবগত তিনি। তাই সকল প্রকার মব জাস্টিস বন্ধে দেশের আইন প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন মহানগর খ্যাত এই নির্মাতা। এ বিষয়ে ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা কোথাও মব জাস্টিসের এই দৌড়াত্ম্য দেখতে চাই না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশকে আমার আহ্বান, অবিলম্বে বিষয়টিকে নজর দিয়ে নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল করা হোক। এ ধরনের বিচার বহির্ভূত হত্যা বা নির্যাতন, এগুলো কখনোই কাম্য নয়; এবং মব জাস্টিসের সকল ঘটনার বিচার হোক।’
এর আগেও সামাজিক মাধ্যমে মব জাস্টিস নিয়ে কথা বলেছিলেন এই নির্মাতা। তার কথায়, ‘গণপিটুনি, সম্মিলিত হামলা বন্ধ করেন। অপরাধী হলে আইনের হাতে তুলে দেন। আইনের শাসন ছাড়া দেশে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার আসবে না। মব জাস্টিসে লাভ শুধু হাসিনার, মনে রাইখেন।’