স্বপ্নের নায়ক সালমান শাহ। মৃত্যুর ২৮ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও ঢালিউডের রাজা হয়ে আজও দর্শকদের মণিকোঠায় বেঁচে আছেন ক্ষণজন্মা এই নায়ক। অথচ তাকেই নাকি চেনেন না জনপ্রিয় গায়িকা আঁখি আলমগীর! শুনে অবাকই হওয়ার কথা সবার।
সালমান আর আঁখির সঙ্গে সম্পর্কটা ছিলো পারিবারিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ। নায়ক হওয়ার অনেক আগে থেকেই তাদের সঙ্গে পরিচয় সালমানের। এমনকি রুপালি পর্দায় নায়ক বানানোর জন্য সালমানকে প্রথম সোহানুর রহমান সোহানের কাছে নিয়ে যান আঁখির মা কবি খোশনূর।
আজ ((১৯ সেপ্টেম্বর) সালমানের ৫৩তম জন্মদিন। সেই সূত্রে আঁখিকে সালমান প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করতেই বললেন, ‘সালমান শাহকে চিনি না!’ সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে এভাবেই বলেন তিনি। পারিবারিক সম্পর্ক থাকা সত্বেও কেন সালমানকে চেনেন না আঁখি?
এ প্রসঙ্গে গায়িকা বলেন, আমরা আসলে সালমান শাহকে চিনি না। আমাদের বাসায় সালমান হলো ইমন। এখনও আমরা তাকে ইমন বলেই মনে করি। আমাদের যে কোনো গল্পে, স্মৃতিতে ইমনই ঘুরে ফিরে আসে। ইমনের মা নীলা আন্টি রাজনীতির পাশাপাশি গানও গাইতেন। বিটিভিতে আমার মায়ের লেখা একটা গান করেন তিনি। সেখান থেকেই নীলা আন্টি আর আমার মায়ের সঙ্গে একটা পারিবারিক বন্ডিং তৈরি হয়। সেভাবেই ইমনের সঙ্গে আমাদের পরিচয়।
আরও পড়ুন: শিল্পী সংঘের ‘অন্তর্বর্তীকালীন সংস্কার কমিটি’র প্রধানের দায়িত্বে তারিক আনাম
আঁখি বলেন, ইমন বয়সে আমার থেকে যথেষ্ট বড়। কিন্তু আমরা একে অপরকে নাম ধরে ডাকতাম। তুই তুই করতাম। আমরা ভাই-বোন সবগুলোই এভাবে তুই-তুই সম্পর্কে বাঁধা ছিলাম। ইমন আর ইমনের ছোটভাইও ছিলো আমাদের সার্কেলে। যেখানে বড়-ছোট বিষয় ছিলো না। সবাই সবাইকে তুই-তুই করতাম! আমার ছোট ভাইও ইমন ভাই না বলে তুই তুই করতো। সম্ভবত আমরা সবাই পাগল ছিলাম!
তিনি আরও বলেন, ইমনকে সালমান শাহ হিসেবে গড়ে তোলার প্রথম উদ্যোগটা নেন আমার মা। ইমন আসলে তখন থেকেই নায়ক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে নিজেকে গড়ে তুলছিল। যেহেতু আমাদের পরিবার সিনেমা-সংগীতের সঙ্গে সরাসরি জড়িত, তাই আম্মুকে দেখলেই ইমন বলতো, ‘আন্টি প্লিজ একটা কিছু করেন। আপনি চাইলে হবে।’ আমি দেখেছি ও আসলে নিজেকে ছোটবেলা থেকে নায়ক হিসেবেই গড়ে তুলেছে। ওর মধ্যে এর বাইরে অন্য কোনো প্ল্যানই ছিলো না। এরপর ওকে নিয়ে আম্মু সোহান আঙ্কেলের কাছে যান। তারপরের ইতিহাস তো সবারই জানান।
আঁখির ভাষ্য, অসম্ভব ভালো একজন মানুষ ছিলেন ইমন তথা সালমান শাহ। একেবারে তাজা প্রাণের একজন মানুষ ছিলো। এজন্যই হয় তো আল্লাহ ওকে এতো দ্রুত নিয়ে যায়। সেটা আল্লাহই ভালো জানেন।