শনিবার মুক্তি পেল রাম কমল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান’র ট্রেলার। রুক্মিণী মৈত্র অভিনীত বহু প্রতীক্ষিত এই ছবি প্রথম থেকেই দর্শকের নজর কেড়েছে।
নারী কেন্দ্রিক এই ছবিতে বিনিয়োগে সরে আসেন টলিউডের একাধিক প্রযোজক। শেষ পর্যন্ত পাশে দাঁড়ান দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চারস এবং প্রমোদ ফিল্মস।
এদিন ট্রেলার লঞ্চে প্রযোজক দেব নয়, বরং অভিনেতা দেব জানান,অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রকে হিংসা করেন তিনি।
যে বারবণিতা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করে স্বপ্ন দেখার সাহস জুগিয়েছিলেন আপামর বঙ্গনারীকে। ঊনবিংশ শতকের বাংলা মঞ্চের ‘প্রাণ’ বিনোদিনী দাসীর জীবন কাহিনি ফুটে উঠেছে এই ছবিতে।
পাঁচ বছর ধরে বিনোদিনীর স্বপ্ন সত্যি করেছেন রুক্মিণী মৈত্র এবং রাম কমল মুখোপাধ্যায়। চরিত্রের নিখুঁত উপস্থাপনার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন রুক্মিণী। সকল বাধা পেরিয়ে অবশেষে ২৩ জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি। ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠানে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি রুক্মিণী।
ট্রেলারে নজরকাড়া রুক্মিণী। অভিনেত্রী স্বত্বাকে নতুনভাবে তুলে ধরলেন তিনি। যা দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ দেব। নায়কের কথায়, ‘সবাই আমাকে জিজ্ঞাসা করেন আমার কম্পিটিটার কে, আমি রুক্মিণীকে হিংসা করি। এই কয়েক বছরে ও যে কটা চরিত্র করেছে, নিজেকে যেভাবে ভেঙেছে তা প্রশংসনীয়। বাংলা ছবির ক্ষেত্রে যেমন বিনোদিনী থেকে যাবে, তেমনই থেকে যাবে রুক্মিণী মৈত্রের নাম’।
দেবের মুখে এই কথা শুনে জবাব দেন রুক্মিণীও। নায়িকা বলেন, ‘দেব অত্যন্ত উদার মনের একজন মানুষ। সে সব সময় বলে আমি কতটা কী করতে পারি তার চেয়েও বেশি আমার সর্বস্বটা দিয়ে খাটতে পারি, পরিশ্রম করতে পারি। এত বছর ইন্ডাস্ট্রিতে সফলভাবে থাকার পর দেবের মতো সুপারস্টার যদি এই কথা বলেন অবশ্যই খুব ভাল লাগে, আমি জানি ও আমাযকে নিয়ে গর্বিত।’
শুরুর দিকে নিয়ে সমস্যায় পড়তে হলেও, ছবির প্রথম গান থেকে ট্রেলার সবই ইতোমধ্যে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে। বিভিন্ন চরিত্রে নিজেকে তুলে ধরেছেন। ঝুঁকি নিয়ে নতুন কিছু চেষ্টা করে চলেছেন। যা প্রশংসনীয় বলে মনে করেন দেবও।
আসলে দেব নিজেকে ভেঙে ভিন্ন ধারার ছবি করতে ক্যারিয়ারে বেশ কিছুটা সময় নিলেও রুক্মিণী একেবারেই তা করেননি। ‘বুমেরাং’ হোক বা ‘টেক্কা’ বা ‘বিনোদিনী’, বারবার নিজেকে ভেঙে নতুন করে সামনে আনছেন রুক্মিণী। তাই ‘বিশেষ বন্ধু’র প্রশংসা করতে কখনও পিছপা হননি দেব নিজেও।