ইরফান খানের পর অন্যধারার অভিনেতা হিসেবে বলিউডে যে নামটি সবথেকে বেশি আলোচিত, তিনি নওয়াজ উদ্দিন সিদ্দিকি। সোমবার (১৯ মে) জীবনের আরও একটা বসন্ত পার করে ফেললেন অভিনেতা; তার বয়স বেড়ে হল ৫১।
ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১১৪টিরও বেশি ছবি এবং সিরিজে কাজ করে ফেলেছেন নওয়াজ। এ সময়ের মধ্যে তিনি ৪২ টিরও বেশি পুরস্কার জিতেছেন। তাকে অভিনয়ের সুপারস্টার বলা হয়। তবে নওয়াজের এই তারকা খ্যাতির পেছনে অমসৃণ ছিল তার পথচলা।
উত্তর প্রদেশের একটি ছোট শহর বুধানায় জন্ম হয় নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির। ৮ ভাইবোনের থেকে তিনিই বড়। যৌবনের বেশিরভাগ সময় তিনি উত্তরাখণ্ডে কাটিয়েছেন। তিনি হরিদ্বারের গুরুকুল কাংরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর, তিনি এক বছর ধরে ভাদোদরায় কটি পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানিতে রসায়নবিদ হিসেবে কাজ করেছেন। পরে নতুন চাকরির সন্ধানে দিল্লি চলে যান।
অভিনেতা জমিদার পরিবার থেকে এসেছেন ঠিকই তবে নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি পরিবারের সাহায্য নেননি। আর তাই শুরুর দিকে নিজের জীবিকা নির্বাহের জন্য তাকে নানান কাজও করতে হয়েছে তাকে। দিল্লিতে থাকার সময় নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজও করেছেন অভিনেতা। আবার কখনও ধনেপাতাও বিক্রি করেছেন নওয়াজউদ্দিন।
পরে ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা থেকে পড়াশোনার পর তিনি অভিনয়ে আসেন। তবে তার চেহারার জন্য বহুবার প্রত্যাখ্যানের মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে। একবার এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা নিজেই স্বীকার করে নেন, তিনি সুন্দর হতে একসময় ফেসারনেস ক্রিমও লাগাতেন।
১৯৯৯ সালে আমির খান অভিনীত ‘সরফরোশ’ ছবিতে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন নওয়াজ। এরপর বহু ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে অনুরাগ কাশ্যপের গ্যাংস্টার মহাকাব্য ‘গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর’-এর হাত ধরে অভিনেতা হিসাবে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে যান নওয়াজউদ্দিন।