গত ১৪ জুন মুম্বায়ের বান্দ্রার নিজ বাড়ি থেকে ঝুলান্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বলিউডের তরুন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃতদেহ। পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী হতাশায় ভুসছিলেন ৩৪ বছর বয়সী এই অভিনেতা। কিন্তু সুশান্তের পরিবারের দাবি আত্মহত্যা করার মতো ছেলে নন সুশান্ত।
এদিকে সুশান্ত সিং রাজপুতের অপমৃত্যুকে কেন্দ্র করে বলিউডে গোড়ে ওঠা নেপোটিজম বা স্বজনপ্রীতিকে দায়ি করেছেন খোদ বলিউডের কিছু তারকা। সেই অভিযোগ এবার গড়াল আদালত পর্যন্ত। অভিযোগ উঠেছে, ছ’মাসে সাতটি ছবি কেড়ে নেওয়া হয় সদ্যপ্রয়াত এই অভিনেতার হাত থেকে।
এই অভিযোগে বিহারের মুজফফরপুর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলিউডের চারজন হেবি ওয়েট তারকার বিরুদ্ধে। সলমন খান, করন জোহর, সঞ্জয় লীলা বানসালী ও একতা কপূরের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৯, ১০৬, ৫০৪ ও ৫০৬ ধারা অনুসারে তাঁদের বিরুদ্ধে এ মামলা রুজু করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা বলেন, সুশান্তের কাছ থেকে শুধু সাতটি ছবি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল তাই-ই নয়, তাঁর একাধিক ছবি আজও মুক্তি পায়নি। এই সমস্ত ঘটনার চাপ মেনে নিতে না পেরে আত্মহননের মতো চরম পথ বেছে নিতে বাধ্য হন ৩৪ বছরের এই অভিনেতা।
কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপম এই বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন তুলে মন্তব্য করেন সুশান্তের মতো প্রতিভার হাত থেকে কী করে সাতটি ছবি চলে যায়! বলিউডের আসল চেহারা কি এতটাই ভয়াবহ?
এই অভিযোগ উঠে এসেছে পরিচালক অভিনব কাশ্যপের জবানিতে। তিনি চাঁছাছোলা ভাষায় জানিয়েছেন, তাঁর কেরিয়ারও শেষ করতে উঠেপড়ে লেগেছিল খান পরিবার। প্রায়ই হুমকি ফোনে শুনতে হত, তিনি যেন কোনও বিষয়ে মুখ না খোলেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমে বুঝতে পারিনি, এ সবের পেছনে হাত রয়েছে সেলিম, সলমন, সোহেল, আরবাজ খানের।
অভিনব কাশ্যপ বলেন পরে আরও জানতে পারি, এঁদের আসল শক্তি মাফিয়া দুনিয়া। যাদের সঙ্গে এঁদের নিত্য ওঠাবসা। তার জেরেই খান ব্রাদার্স ইচ্ছেমতো রাজত্ব চালান বলিউডে।’’ অভিনব বলেন, তিনি সুশান্তের মতো হেরে যেতে রাজি নন। এর শেষ দেখে তবে ছাড়বেন তিনি।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি