করোনাকালে নাজুক হয়ে পড়ছে অর্থনৈতিক ভারসাম্য। এই সংকট মোকাবেলা করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। করোনার সময়ে সঙ্গীতশিল্পীদের কাজের সুবিধার জন্য তেমনই পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাঢোল স্টুডিও কর্তৃপক্ষ।
এখন থেকে এই স্টুডিওতে প্রতিটি কাজে ৫০ ভাগ ছাড় দেয়া হবে। এমনই ঘোষণা দিয়েছে এই স্টুডিও কর্তৃপক্ষ। চলমান করোনা সংকট মোকাবিলায় শোবিজের শুটিং নিয়ে আলাপ-আলোচনা এমনকি সিদ্ধান্ত নিয়ে চর্চা হলেও গান রেকর্ডিংয়ের বিষয়টি অগোচরেই থেকে যায়।
এখন থেকে এই স্টুডিওতে কেউ গান নির্মাণ বা রেকর্ডিং করতে চাইলে শিফট ভাড়া অর্ধেক রাখা হবে। করোনাকালের প্রতিবন্ধকতা থেকে বাংলা সঙ্গীতের স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
জানা গেছে, এই স্টুডিওতে গান রেকর্ডিং, মিক্স-মাস্টারিং, ভিডিও এডিটিং, কালার গ্রেডিং ও ডাবিং সুবিধা রয়েছে। মাঝে তিন মাস কার্যক্রম স্থগিত থাকার পর বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে কাজ শুরু হয়েছে বাংলাঢোল স্টুডিওতে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কয়েকদিন আগে সবশেষ বাংলাঢোল স্টুডিওতে নিজেদের জন্য গান তৈরি করেছেন সংগীতশিল্পী মাকসুদ ও মেহরীন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে এখানে গান তৈরিতে অংশ নিয়েছেন সৈয়দ আবদুল হাদী, কুমার বিশ্বজিৎ, তপন চৌধুরী, সামিনা চৌধুরী, আসিফ আকবরসহ অনেকেই।
বাংলাঢোল স্টুডিও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী প্রতিটি ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ এর কারণে বিরূপ প্রভাব পড়তে যাচ্ছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চাইলেই একা কাজ করতে পারে না। সবাই একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। সঙ্গীতশিল্পীদের স্বার্থ বিবেচনায় তাই এমন সিদ্ধান্ত।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি