২০০৮ সালে খান মহম্মদ হান্নান পরিচালিত ভালবাসা ভালবাসা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ঢালিউড অভিনেতা জায়েদ খানের অভিনয় জীবন শুরু হয় । বর্তমানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সদস্য হিসেবেও দায়িত্বে আছেন তিনি। সম্প্রতি প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ‘সংগঠনের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের’ অভিযোগ পেয়েছে।
বিষয়টি একাধিকবার সামনে আসায় সমিতির পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির পক্ষ থেকে। প্রযোজক সমিতির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আশানুরূপ বক্তব্য না পেলে, অভিযোগ প্রমাণিত হিসেবে ধরা হবে। যার ফলে সংগঠন বিরোধী অপরাধে সদস্যপদও খোয়া যেতে পারে জায়েদ খানের।
১৩ জুলাই জায়েদ খানকে কারণ দর্শানোর জন্য পাঠানো নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘চলচ্চিত্র নির্মাণে শৃঙ্খলা আনতে ও নির্মাণ ব্যয় কমাতে গত অক্টোবরে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে সমিতি। এটি বাস্তবায়ন হলে চলচ্চিত্র নির্মাণে ন্যূনতম ১৫ লাখ টাকা কমে যাবে। কিন্তু এই কাজে অসহযোগিতা করতে জায়েদ বিভিন্ন শিল্পী ও প্রযোজককে মুঠোফোনে এসএমএস পাঠিয়ে উৎসাহিত করছেন।
এদিকে ১৪ জুলাই বিকাল ৪টায় প্রযোজক সমিতির কার্যালয়ে ১৭ সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক বৈঠকে জায়েদ খানকে বয়কটের কথা বলেছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৭টি সংগঠনই। বৈঠকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কেউ উপস্থিত না থাকলেও উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৭টি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ‘সংগঠনের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের’ ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে যে নোটিশ পাঠিয়েছে তাঁর সন্তোষজনক বক্তব্য না পাওয়া পর্যন্ত তাকে বয়কট করা হবে, পাশাপাশি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকেও সাবধান করে চিঠি দেওয়া হবে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৭ সংগঠনের নেতারা।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি