ঢাকাই ছবির ইন্ডাস্ট্রিতে দুই দশক ধরে রাজত্ব করছেন শাকিব খান। একথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে নায়ক মান্নার পর তিনিই ধরেছিলেন ঢাকাই ছবির লাগাম। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যিনি মেগাস্টার হিসেবে স্বীকৃত। ২০১০ সালে ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ শিরোনামের ছবির জন্য প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান শাকিব।
ছবিটি পরিচালনা করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু। ছবিটি ত্রিভুজ প্রেমের গল্প নির্ভর। প্রণয়ধর্মী ও পারিবারিক গল্প এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে। এ ছবিতে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, রুমানা খান সহ অনেকে। এই ছবিটি দর্শক ও সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত হয়।
২০১২ সালে মুক্তি পায় শাকিব খানের ‘খোদার পরে মা’ ছবিটি। ঢালিউড অ্যাকশানধর্মী ছবিটি পরিচালনা করেন শাহীন সুমন। ছবিটি মুক্তি পায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে। ২০১২ সালের সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে ৩৭তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আসরে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেন শাকিব।
২০১৫ সালের ১৪ আগস্ট মুক্তি পায় শাকিব অভিনীত সিনেমা ‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’। এই রোম্যান্টিক ছবিটি পরিচালনা করেন এস এ হক অলিক। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন শাকিব খান ও পরিমনি। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করে শাকিব খান ৪৩ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে তৃতীয় বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে নেন।
সবশেষ ২০১৭ সালের কথা। সে বছর মুক্তি পায় শাকিব ও কলকাতার পাওলি দাম অভিনীত সিনেমা সত্তা। ছবিটি পরিচালনা করেন হাসিবুর রেজা কল্লোল। চলচ্চিত্রটি ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার সহ ৫টি বিভাগে পুরস্কার জিতে নেয়।
রোম্যান্টিক, অ্যাকশনধর্মী ছবির মধ্যে দর্শকরা দুই ধরনের ছবিতেই শাকিবকে দেখতে পছন্দ করে। ছবির জন্য একাধিক পুরস্কার পেলেও বেশিরভাগ রোম্যান্টিক ছবির জন্যই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গেছে শাকিবের ঝুড়িতে। তবে কি ঢাকাই ছবির অ্যাকশন হিরো নাকি রোম্যান্টিক হিরো শাকিব খান? অংকের হিসেবে উত্তরটা রোম্যান্টিকই হয়।