ঢাকাই ছবির সুপারস্টার শাকিব খান। নব্বই দশকে ক্যারিয়ার শুরু করা শাকিব এখন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে মেগাস্টার হিসেবে স্বীকৃত। দীর্ঘ দুই দশক রাজত্ব করে যাচ্ছেন ইন্ডাস্ট্রির অপ্রতিদ্বন্দ্বী এই নায়ক।
১৯৯৯ সালের ২৮ মে মুক্তি পায় এই নবাগত জুটির প্রথম ছবি ‘অনন্ত ভালোবাসা’। পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। নতুন নায়ক-নায়িকার ছবি হওয়ায় ‘অনন্ত ভালোবাসা’ আলোচনাতেও ছিল। কিন্তু ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফলতা পায়নি। ছবিটি সফলতা না পেলেও নায়ক শাকিব খান থেমে যাননি।
দেশের চলচ্চিত্রে এক চেটিয়া রাজত্ব করে যাচ্ছেন তিনি। বর্তমানে সাফল্য ও দর্শকপ্রিয়তার বিচারে শাকিব খানের ধারে-কাছেও কোনো নায়ককে পাওয়া দুস্কর। একজন সাধারণ মাসুদ রানা থেকে সুপারস্টার শাকিব খান হয়ে ওঠার পথটা সহজ ছিল না। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ শাকিব রাজত্ব করছেন এই চলচ্চিত্র অঙ্গনে।
তবে ২০১৬ সালে যৌথ প্রযোজনার সিনেমা শিকারি দিয়ে পর্দায় এক নতুন শাকিব খানের দেখা মেলে। চারদিকে সাড়া ফেলে তার সেই নতুন রূপ। বাংলাদেশের পাশাপাশি শাকিব ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও হয়ে উঠেন আলোচিত। বলা যায় তারকা শাকিবের নবজন্ম ছিল সেই বছর।
এরপর নবাব, সত্ত্বা এবং বীর সিনেমা দিয়েও হইচই ফেলে দেন শাকিব। এবার শাকিব তার ক্যারিয়ারের ২২ বছর অতিক্রম করলেন। এমন বিশেষ দিনে সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাতেও ভুল করেননি শাকিব খান।
দিনটিতে স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে শাকিব খান এক ফেসবুক বার্তায় বলেন, যখন চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করি তখন আমি অপরিপক্ক কিন্তু দূরদর্শী ছিলাম। জানতাম না কোথায় যাচ্ছি বা কি করব! শুধু এটুকু জানতাম, আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং কোনো সময় হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না। আজ যখন ফিরে তাকাই, তখন আমি সকল মানুষ এবং অভিজ্ঞতার কাছে কৃতজ্ঞ।