দুর্যোগে জনগণ থেকে দূরে সরে উটপাখির মতো বালিতে মাথা গুঁজে রাখার নীতিই বিএনপির রাজনীতি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (০৯ জুলাই) সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে তিনি একথা বলেন।
এসময় আওয়ামী লীগ দোষারোপের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেয়ার মানসিকতাও আওয়ামী লীগ পোষণ করে না। এখন রাজনীতি হচ্ছে মানুষের সুরক্ষার পাশাপাশি অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু বিএনপি করোনাকালেও প্রতিদিন সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছে।
বিএনপির অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের জবাব অনিচ্ছাসত্ত্বেও দিতে হয় উল্লেখ কাদের বলেন এসবের জবাব না দিলে জনগণ তাদের মিথ্যাচারকেই সত্য বলে ধরে নেবে।
বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হতে পারে কিন্তু আওয়ামী লীগ বিরোধী বলয় হিসেবে তারা মোটেই দুর্বল নয় উল্লেখ করে কাদের বলেন, এদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করতে জনগণ ও দেশের সম্পদ ধ্বংস এবং লুন্ঠনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন শক্তি এখনও সক্রিয়।
মন্ত্রী বলেন, যে কোনো দুর্যোগ ও সংকটে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে মিডিয়ায় ঝড় তোলাই বিএনপির স্বভাব। করোনাকালেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। বিএনপি এর পরে একদিন বলতে শুরু করবে, সরকার বিএনপির পাঁচ দফা প্রস্তাব মানলে পরিস্থিতির আরেও উন্নতি ঘটতো। এসব প্রস্তাবের অধিকাংশই ইতিমধ্যেই বাস্তবায়ন হয়েছে এবং কিছু বাস্তবায়নাধীন আছে ।
বিএনপির প্রস্তাব চর্বিতচর্বন, যা সংকট উত্তরণের জন্য নতুন কিছু নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারকে পরামর্শ দিলেও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি নিজেদের দায়িত্ব কী তা নিয়ে একটি কথাও বলেনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার দিনরাত জনকল্যাণে কাজ করছে আর বিএনপি দেশ ও জাতির দুর্যোগকালে তাদের দায়িত্বশীলতা ভুলে গিয়ে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছে।
কাদের অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি দেশের এই সংকটে মানুষের পাশে তো দাঁড়ায়ইনি, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে ন্যূনতম কোন সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করতেও দেখা যায়নি। বিএনপি লোক দেখানো প্রস্তাব দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করেছে বলেও মনে করেন তিনি।
এসময় তিনি মহামারি থেকে উত্তরণ ও জনগণের জীবন-জীবিকার সুরক্ষায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐকবদ্ধ হয়ে অদৃশ্য শত্রু মোকাবিলায় সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।