কারফিউ না দিলে শ্রীলঙ্কার মতো গণভবন দখলের ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।রোববার (২৮ জুলাই) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতার জন্য লন্ডনে পলাতক ব্যক্তি (তারেক রহমান)… শ্রীলঙ্কান স্টাইলে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি দখল করার টার্গেট ওই রাতে করেছিল, যদি কারফিউ জারি না হতো। এই প্ল্যান তাদের ছিল। শ্রীলঙ্কা স্টাইলে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি আক্রমণ করা, অভ্যুত্থানের ওপর ভর করে হাওয়া ভবনের যুবরাজ ক্ষমতা দখল করতো। এটাই ছিল তাদের পরিকল্পনা।
এ সময় তিনি ড. ইউনূসেরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ড. ইউনূস অতীতে গোপনে বিরোধিতা করলেও এবার প্রকাশ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদেশি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ অবস্থায় কোটা আন্দোলনে সহিংসতা এবং ড. ইউনূসের বিবৃতি একই সূত্রে গাঁথা কি না তা নিয়েও ভেবে দেখার কথা বলেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর কারফিউ দেয়ার সিদ্ধান্তের পর সেনাবাহিনী সড়কে নামলেও কোথাও একটাও গুলিও ছুড়েনি। অথচ হাজার হাজার মানুষ মেরে ফেলার অপবাদ দেয়া হচ্ছে।
হতাহতদের দেখতে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তাদের দেখতে যাচ্ছেন বিবেকের টানে, হৃদয়ের টানে। আপনাদের মতো মায়াকান্না করতে নয়। বিবেক ও হৃদয়ের টানে তিনি হাসপাতালে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু মানুষের জন্য যা করতেন, তার কন্যাও সেই সহানুভূতি নিয়ে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি-জামায়াতের হামলাকারীরা এ দেশের উন্নয়ন ধ্বংস করতে মরিয়া। বাংলাদেশকে নিরাপদ করতে এই অপশক্তিকে বিতাড়িত করার বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দুস্থদের মধ্যে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি করে ডাল ও লবণ এবং ১ লিটার তেল দেয়া হয়।