জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেছেন, যেকোনো চাকরিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন যেন না থাকে, সে বিষয়ে সুপারিশ করা হবে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে জনপ্রশাসনের সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, আমরা তথ্য অধিকার আইনকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রতিটি জেলা এবং বিভাগে এ বিষয়টি দেখভাল করতে একজন করে কর্মকর্তা দেওয়া হবে। তবে এখনও তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগ সেভাবে হচ্ছে না।
তিনি বলেন, পরীক্ষা ছাড়া আর কেউ পদোন্নতি পাবেন না। পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা নেবে এবং ৭০ মার্ক না পেলে পদোন্নতি পাবেন না। প্রতিটি টায়ারে (উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে) এটি হবে না, উপসচিব এবং যুগ্ম সচিব এই দুই পর্যায়ে (পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি) হবে। এরপরের পর্যায়ে সরকার পদোন্নতি দিতে পারবে।
আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, আর যে পরীক্ষা হবে, সেখানে যদি একজন কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তা সবচেয়ে বেশি নম্বর পান, সে তালিকায় এক নম্বরে চলে আসবে। উপসচিবের তালিকায় সে এক নম্বরে আসবে।
তিনি আরও বলেন, উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য ৫০ এবং অন্য ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কর্মকর্তাদের নেওয়ার সুপারিশ দেওয়া হচ্ছে। এখন এ ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা ৭৫ এবং অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা ২৫ শতাংশ পদোন্নতি পেয়ে থাকেন।
এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যসচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, দুর্নীতি করে সরকার, কর্মকর্তারা কেউ পার পায় না, সময়ের ব্যাধানে সবাই আইনতের আওতায় আসে।
যেসব কর্মকর্তারা ঘুষ নিতে চায় দরজা বন্ধ করে পানিশমেন্ট দেওয়ার জন্য জনগণকে পরামর্শ দেন সিনিয়র সচিব।