পানি বেঁচে থাকার অন্যতম উপাদান। সারাদিন একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির কমপক্ষে সাত থেকে আট গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন। তবে রমজানে দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকা এবং গ্রীষ্মের গরমের কারণে দেহে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
১। ইফতার ও সেহেরিতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন
রোজায় ইফতার আর সেহেরি ছাড়া যেহেতু পানাহারের সুযোগ থাকে না। তাই এই সময়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পানি পানি করুন। তেলযুক্ত খাবার কম খেয়ে চেষ্টা করুন দেহে পানি ধরে রাখে এমন খাবার খাদ্য তালিকায় রাখার। খেজুর, ফল, ডাবের জলের সঙ্গে ইফতারে রাখতে পারেন পান্তাভাত, যা দেহে সারা দিনের পানির ঘাটতি পূরণে সাহায্য করবে। তবে অবশ্যই অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
২। চা ও কফি বেশি না খাওয়াই ভালো:
আমরা অভ্যাসগত কারণে সেহরি এবং ইফতারে চা বা কফি পান করে থাকি। তবে সারাদিন অনাহারে থেকে চা কফি পান করলে সাময়িক আরাম পাওয়া থেকে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এতে করে সারাদিন অ্যাসিডিটির সমস্যাও হতে পারে।
৩। খাদ্য তালিকায় রাখুন স্বাস্থ্যকর খাবার;
সেহরি ও রাতের খাবারে নিয়মিত পানিসমৃদ্ধ সবজি যেমন চালকুমড়া, লাউ, মিষ্টিকুমড়া, শসা, টমেটো ইত্যাদি রাখুন। সহজেই হজম হয় এমন খাবার রাখুন খাদ্য তালিকায়। পাশাপাশি অতিরিক্ত তেল ও মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে, কেননা তা পরিপাকে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়।
এছাড়াও পানি শূন্যতা এড়াতে ফলের রস ও ফল খান যা আপনার শরীর হাইড্রেট রাখবে, নিয়মিত গোসল করুন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, সম্ভব হলে হালকা শরীর চর্চা করা করুন। তবে ডায়রিয়া, জ্বর বা অতিরিক্ত বমিভাব হলে নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে শিগগিরই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।