জন্মাষ্টমী উৎসবের ব্যয় কমিয়ে বন্যার্তদের সাহায্যে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) পূজা উদযাপন পরিষদ। এই উৎসব উপলক্ষে এবার কোনো শোভাযাত্রারও আয়োজন করবে না সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সম্প্রতি তাদের অনুষ্ঠিত এক অনলাইন সভায় এই সিদ্ধান্তসহ তিনটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তাদের অন্য সিদ্ধান্তগুলো হলো- যতটা সম্ভব কৃচ্ছ্রসাধন করে জন্মাষ্টমী উদযাপন করা এবং সেখান থেকে একটা অংশ বন্যার্তদের সাহায্যের ফান্ডে দেয়া হবে। পূজার দিন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকলের আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হবে। পূজা মণ্ডপের সামনেও বক্স থাকবে, কেউ চাইলে পূজার দিন অর্থ সহায়তা দিতে পারবে।
এছাড়াও কেউ চাইলে বিকাশ, নগদ, রকেটেও সাহায্য পাঠাতে পারবে। (০১৯৪৮৪৬৬৮৬০ বিকাশ এবং নগদ) ( ০১৯৪৮৪৬৬৮৬০-১ রকেট নম্বর)
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত দাস বলেন, যারা টাকা পাঠাবেন রেফারেন্সে বন্যার্তদের সহায়তার বিষয়টি উল্লেখ করবেন। পূজার দিন বিকালে সব টাকা একত্রিত করে বিশ্বস্ত মাধ্যমে বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য পাঠানো হবে। একটা কথা মনে করিয়ে দেই, আমরা একদমই দান করছি না। আমাদের ভাইবোনদের বিপদে পাশে দাঁড়াচ্ছি।
প্রসঙ্গত, বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। টাকা পয়সা ও বিভিন্ন পোশাক এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিয়ে যে যেভাবে পারছেন সহায়তা করছেন। ইতোমধ্যে ইবি শিক্ষক সমিতিও তাদের এক দিনের বেতনের টাকা বন্যার্তদের সহায়তায় পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।