বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অব্যাহত সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটি। একইসঙ্গে বাংলাদেশে সোলার প্যানেলে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে তারা।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এসব আগ্রহের কথা জানান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসও। তিনি বলেছেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ‘নতুন একটি অধ্যায়’ খুলতে চাই।
ড. ইউনূসকে চীনা জনগণের পুরনো বন্ধু হিসেবে আখ্যায়িত করে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ড. ইউনূস বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ওয়াং ই বলেন, চীনা সোলার প্যানেল নির্মাতাদের বাংলাদেশে প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য ড. ইউনূসের আহ্বানকে গুরুত্ব দেবে চীন। গত মাসে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে এ আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের কোম্পানির মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা ও অংশীদারত্বকে উৎসাহিত করবে বেইজিং। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সব পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে চীনের যে সিদ্ধান্ত রয়েছে, তাতে বাংলাদেশও উপকৃত হবে। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময় গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য চাইনিজ রেড ক্রস চিকিৎসকদের একটি দল পাঠিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাবে চীন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনের এমন অবস্থানের জন্য ধন্যবাদ জানান ওয়াং ইকে। তিনি বলেন, চীনা সৌর কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আরও বড় আকারে বিনিয়োগ করতে পারে। অন্যান্য চীনা নির্মাতাদেরও বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তর করার আহ্বান জানান তিনি।