ইসরাইলের সঙ্গে কোনো পরিস্থিতিতেই ইরান সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।
গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর শান্তি প্রক্রিয়া শুরুর আভাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ট্রাম্প জানান, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক ইতিহাস তৈরি হবে। ইরানও এর অংশ হবে। যেসব দেশ আগে একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল, তারাও এখন সংলাপে যুক্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ট্রাম্প এও ইঙ্গিত দেন, ইসরাইল-ইরান বৈরিতার দীর্ঘ ইতিহাস ভেঙে শান্তির বৃহত্তর কাঠামোতে একসঙ্গে আলোচনায় বসার সম্ভাবনায় রয়েছে।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন পরিকল্পনাকে অবাস্তব বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। শনিবার (১১ অক্টোবর) তিনি জানান, ইরান কখনও এমন একটি দখলদার রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে না, যারা শিশু হত্যার মত জঘন্য অপকর্মে লিপ্ত থাকার পাশাপাশি গণহত্যা চালিয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরাইলের দৃঢ়তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আরাঘচি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সঙ্গে নতুন করে পরমাণু চুক্তি আলোচনা শুরুর আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি। এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ইউরোপে এমন এক সমঝোতায় পৌঁছাতে চায় যা স্থায়ী, যাচাইযোগ্য, এবং নিশ্চিত করে যে ইরান কখনও পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না।
তবে এই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখান করে দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। স্থানীয় এক গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেয়ার সময় তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র যদি একটি ন্যায়সঙ্গত পরমাণু চুক্তিতে আগ্রহ দেখায় তবে ইরানও সম্মতি জানাতে পিছু হটবে না।
তিনি বলেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা ইরানের জনগণের অধিকার। আর এই সমৃদ্ধি কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যের জন্যই করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে আমাদের অধিকারকে সম্মান করতে হবে। পরমাণু চুক্তির জন্য যে প্রস্তাবগুলো সূত্রভিত্তিক, ন্যায্য, সুষম ও যুক্তিসঙ্গত, সেগুলো আমরা অবশ্যই বিবেচনা করব।
এরমধ্যেই, ইরানের জ্বালানি রফতানি নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পেট্রোলিয়াম ও তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস রফতানিতে সহায়তার অভিযোগে ৫০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও জাহাজকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে।