আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়। মানুষ অনাহারে থাকে না, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হয়। আমরা ’৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছিলাম। বিএনপি এসে সব বন্ধ করে দেয়। আমরা আবারও ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছি, এখন ৩০ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হয়।’
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে রংপুরের পীরগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই দেশের উন্নয়ন করেছে। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। আর বিএনপি ক্ষমতায় এসে দেশের সম্পদ লুট করেছে। তারা শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। তাদের নেতারা সম্পদশালী হয়েছে। তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে।’
পীরগঞ্জে নৌকার প্রার্থী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এবারও রংপুর-৬ আসনে আমার কন্যাতুল্য, জাতীয় সংসদের স্পিকার, অত্যন্ত মেধাবী ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এটি পীরগঞ্জের মানুষের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। রাষ্ট্রপতির পরে স্পিকারের স্থান। রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে স্পিকার সেই দায়িত্ব পালন করেন। আমি যেমন টুঙ্গিপাড়া থেকে নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছি তেমনি পীরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত হয়ে সে স্পিকার। আগে পীরগঞ্জের কী অবস্থা ছিল? এখন স্পিকার শিরীন শারমিনের নেতৃত্বে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। আরও অনেক উন্নয়ন হবে।’
জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন– পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র তানজিবুল ইসলাম শামীম, আওয়ামী লীগ নেতা করিম সরদার। উপস্থিত ছিলেন– আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।
এর আগে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করে সড়কপথে রংপুরের তারাগঞ্জে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তারাগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে রংপুর-২ আসনের প্রার্থী আহসানুল হক চৌধুরীর সমর্থনে নির্বাচনি সভায় বক্তৃতা দেন। এরপর মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীরহাট এলাকায় রংপুর-৫ আসনের প্রার্থী রাশেক রহমানের সমর্থনে পথসভায় বক্তব্য দেন। এরপর সরাসরি পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রয়াত স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার কবর জিয়ারত ও ফাতেহা পাঠ করেন। এরপর স্বজনদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটান। পরে সেখান থেকে পীরগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে জনসভায় যোগ দেন।