রাজধানীর সায়দাবাদের গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে এখন পর্যন্ত ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে ভেতরে আরও মরদেহ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৭ ইউনিট।
অবশ্য এরই মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। দগ্ধ একজন শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। আগুনের কারণ অনুসন্ধানে এরই মধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে গোয়েন্দা বিভাগ।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে খিলগাঁও ও পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের ৭টি ইউনিট কাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের আরও ইউনিট বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে আশপাশের আরও বেশ কয়েকটি ফায়ার স্টেশনে জরুরি সংবাদ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিজিবি ও র্যাবের একাধিক দল। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করছেন। ঘটনাস্থলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। সেই সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে স্কাউটের সদস্যরাও।
এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি কর্তৃপক্ষ। তবে এ ঘটনায় প্রকাশিত একাধিক ভিডিওতে ট্রেনের একটি বগিতে এক যাত্রীর মরদেহ দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ট্রেনটিতে যাত্রীদের ভিড় ছিল। চলতি ট্রেনেই আগুন লাগে। পরে ট্রেনটি থামলে যাত্রীরা দ্রুত নামার চেষ্টা করেন।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এক ব্যক্তি তার পরিবার নিয়ে ট্রেনের মধ্যে আটকে পড়ে। অনেক চেষ্টা করেও তিনি বের হতে পারেননি বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।