বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে। অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও জন্মশতবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশ্বনেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
২০২০ সালের ১৭ মার্চ শুরু হয়ে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদ্যাপিত হবে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের নানা প্রান্তে বছরজুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান যৌথভাবে উদ্যাপন করবে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকো এবং বাংলাদেশ।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২০ সালের মার্চে শুরু হয়ে পরের বছরের মার্চ পর্যন্ত অনেকগুলো অনুষ্ঠান হবে। প্রতিটি মন্ত্রণালয় বছরজুড়ে পৃথক পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আগামী মার্চ থেকে প্রতিবছর বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করা হবে।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের কাউন্ট ডাউন বা ক্ষণগণনা শুরু হবে ১০ জানুয়ারি (২০২০) থেকে। চলছে এ উপলক্ষে নানা ধরনের প্রস্তুতি।
মুজিববর্ষ সফল করতে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভায় গঠিত আটটি উপকমিটি কাজ করছে। সেগুলো হচ্ছে– ১. ওয়ার্কশপ ও আলোচনা সভা আয়োজন উপকমিটি, ২. আন্তর্জাতিক কর্মসূচি যোগাযোগ উপকমিটি, ৩. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী আয়োজন উপকমিটি, ৪. প্রকাশনা ও সাহিত্য অনুষ্ঠান উপকমিটি, ৫. আন্তর্জাতিক প্রকাশনা অনুবাদ উপকমিটি, ৬. ক্রীড়া ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন উপকমিটি, ৭. মিডিয়া প্রকাশ ও ডক্যুমেন্টেশন উপকমিটি এবং ৮. চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র উপকমিটি।
এ উপলক্ষে দশটি বিশাল ক্যানভাসে ছবি আঁকবেন দেশের খ্যাতনামা দশজন শিল্পী। আট ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৪ ফুট প্রস্থের ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে নিখুঁতভাবে আঁকা সেসব ছবিতে উদ্ভাসিত হবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিটি ছবিতেই ইতিহাসের একটি অধ্যায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে আঁকা হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতিকে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১০২ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৬১ সদস্যের একটি বাস্তবায়ন কমিটিও গঠন করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে মন্ত্রিসভা বিভাগ।
জাতীয় কমিটিতে বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ছাড়াও জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, আওয়ামী লীগের গত সরকারের ১০ জন মন্ত্রী, বর্তমান সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, ঢাকার দুই মেয়র, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ মহাপরিদর্শক, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দুজন সাবেক গভর্নর, বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধি এবং বেশ কয়েকজন শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীকে রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে জাতীয় কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত বাস্তবায়ন কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও একাধিক বেসরকারি সংগঠন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের জন্য পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। সরকারের পক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ও বছরব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সামঞ্জস্যের পাশাপাশি ভিন্নতাও রয়েছে। মন্ত্রণালয়ভিত্তিক কর্মসূচি প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী ১৭ মার্চ থেকে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু হবে।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি