বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার হরিনঘাটা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে এলাকার সংঘবদ্ধ একটি চোর চক্র। দীর্ঘদিন ধরে কৌশলগতভাবে চক্রটি গাছপাচার অব্যাহত রাখলেও তাদের প্রতিরোধে এখনো কোনো ব্যবস্থ্যা নেয়া হয়নি।
এতে ক্রমেই ধ্বংস হচ্ছে দেশের দক্ষিনাঞ্চলের হরিনঘাটা ম্যানগ্রোভ প্রজাতির এ বন।এদিকে বন বিভাগ বলছে পর্যাপ্ত লোকবল ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে অসহায় ।
বরগুনা পাথরঘাটা উপজেলা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গোপসাগরের মোহনায় পায়রা-বিষখালী-বলেশ্বর এ তিন নদ-নদীর সঙ্গস্তলে অবস্থিত হরিণঘাটা বন। সুন্দরবনের চেয়ে আকৃতিতে বড় প্রজাতির মায়াবি চিত্রল হরিণের বিচরণস্তল হওয়ায় এই বনের নামকরণ হয় হরিণঘাটা।
এই বনাঞ্চলের আয়তন প্রায় ১০ হাজার একর। ১৯৬৭ সাল থেকে বন বিভাগ হরিণঘাটা বনটিকে সরকার সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণা করে। সংরক্ষিত এ বনকে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলে ২০১৫ সালে। এটি সুন্দরবনেরই একটি অংশ।এই বনাঞ্চল থেকে চোরাপথে মূল্যবান কেওড়া, সুন্দরী, বাইনসহ নানা প্রজাতির গাছ কেটে উজাড় করা হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো বন এলাকা থেকে ঘটছে গাছ নানা চুরির ঘটনা।
প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে বিশাল বনাঞ্চল রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বন বিভাগের এ দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে সংঘবদ্ধ কিছু গাছ চোর চক্র। বন রক্ষায় নিয়োজিত অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে হরিনঘাটা, লালদিয়া, মূল্যবান বৃক্ষ নির্বিচারে নিধনযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে কিছু অসাধু চোর চক্রের সদস্য।
এই এলাকার সাধারণ জনগণ জানান, গত সিডরে আমাদের এই অঞ্চলের মানুষকে রক্ষা করেছিল এই বন। কিন্তু এই জঙ্গলের সাথে সম্প্রতি কিছু অসাধু কাঠ ব্যবসায়ী আছে যারা প্রতি জঙ্গল থেকে হাজার হাজার ঘন সিএফটি গাছ কেটে নিয়ে ভিবিন্ন জাগায় বিক্রি করছে।
বন র্কমর্কতা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা বাধাঁ দিচ্ছি, প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের জনবল অনেক কম, কিছু জেলে রান্না করে নদীতে থাকে ওরা অনেক সময় না বলে ডুকে পরে, সেটা আমাদের চোখে ধরা পরলে ঠিকি বন মামলা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি