বিএনপির আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকেছে বলেই তারা নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের আগেই হেরে যায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) তার সরকারি বাসভবন থেকে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি বিএনপির রাজনীতিকে কচ্ছপের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, তারা একবার মাথা বের করে, পরক্ষণেই আবার মাথা লুকিয়ে নেয়।
সরকার বিভিন্ন রায়ের মধ্য দিয়ে নাকি আদালতকে ব্যবহার করছে, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। উচ্চ ও নিম্নআদালতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আছে বলেই সরকার বিচারিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে না। বরং বিএনপিই দ্বিচারিতার আশ্রয় নেয় আইন-আদালতকে ঘিরে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মামলায় জিতলে বলে বিচার বিভাগ স্বাধীন আর হারলে বলে সরকার হস্তক্ষেপ করেছে।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি তখন সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ব্যাহত ও বাধাগ্রস্ত করতে এবং গণতন্ত্রকে সংকটে ফেলতে চেয়েছিল।
জনগণ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে সরকার গঠন করার সুযোগ দিয়েছিল বলেই সমগ্র বাংলাদেশে আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি অর্জনের পথে অদম্যগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
সরকার দেশে বিএনপি শূন্য করতে চায়, এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই অভিযোগ অবান্তর। সরকার বিএনপিকে শক্তিশালী এবং দায়িত্বশীল বিরোধীদলের ভূমিকায় দেখতে চায়। দেশের জনগণও চায় বিএনপি মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াক। জনগণ চায় তারা স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতা ছেড়ে দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনায় রাজনীতি করুক।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদল শক্তিশালী হলে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় গুণগত পরিবর্তন আসে। একদলীয় কোনো চর্চা সরকারের কাজে ও মনস্তত্বে নেই। সরকার জনগণের ক্ষমাতায়নে বিশ্বাসী। সমৃদ্ধ আগামী গড়তে দরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দায়িত্বশীল বিরোধীদল।