বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিএনপি যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল, তা করোনার অজুহাত দেখিয়ে প্রত্যাহার করে নেয়া রহস্যজনক।
আজ বৃহস্পতিবার গণহত্যা দিবস স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সেতু মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিএনপি যে কর্মসূচি নিয়েছিল, করোনার অজুহাত দেখিয়ে তারা তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ২৬ মার্চকে সামনে রেখে ইতিহাসের অনেক মীমাংসিত সত্যের মুখে তারা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়বে বলে আজকে ২৫ মার্চ ও ২৬ মার্চ পালন না করে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
২৫ মার্চের গণহত্যা ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম ঘটনা দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাসের এই বর্বরোচিত গণহত্যা এখনো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়নি। স্বাধীনতার এত বছর পার হলেও পাকিস্তান একাত্তরের নৃশংস, বর্বরোচিত গণহত্যার জন্য আজও দুঃখ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেনি।
তিনি বলেন, পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নির্মম নির্যাতন নিয়ে বিএনপির মুখে কিছু শোনা যায় না। তারা শুধু সরকারের অন্ধ সমালোচনায় ব্যস্ত। পাক হানাদারদের গণহত্যার বিষয়টি নিয়ে কিছু না বলে বরং এর পক্ষে সাফাই গায় কি না সে নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি মুখে মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে একটি কথাও বলেনি। এ ব্যাপারে তাদের ন্যাক্কারজনক নীরবতা পাকিস্তানি হানাদারদের পক্ষে তাদের অবস্থানকে স্পষ্ট করে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।