নিউ ইয়র্ক স্টেটের বাফেলোতে দুই প্রবাসী বাংলাদেশিকে ভরদুপুরে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ভিডিও দেখে রোববার বিকালে ওই যুবককে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হলেও তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় বাফেলোর জিনার স্ট্রিটে (ইস্ট ফেরি স্ট্রিট ও বেইলি অ্যাভিনিউ কর্নারে) এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহতরা হলেন– সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবু সালেহ মোহাম্মদ ইউসুফ (৫৮) এবং কুমিল্লার বাবুল মিয়া (৪৩)।
বাবুল মিয়া আগে সপরিবারে থাকতেন ম্যারিল্যান্ডে। সম্প্রতি তিনি বাফেলোতে বাড়ি কেনেন। আর ইউসুফ গত ডিসেম্বরে স্ত্রী এবং দুই মেয়েসহ বাফেলোতে আসেন স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য।
ঘটনার সময় তারা বাড়ির সংস্কার কাজ করছিলেন। গুলিতে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান অন্যজন।
গুলির ঘটনার পর একটি সোয়াট টিমকে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়। স্থানীয়দের বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।এমন ঘটনায় কানাডা সীমান্ত সংলগ্ন বাফেলোতে বসবাসরত অর্ধ লক্ষাধিক প্রবাসীর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়।
যে বাড়িতে কাজের সময় বাবুল ও ইউসুফ আক্রান্ত হন, তার পাশের একটি সিসিটিভির ভিডিও দেখে আততায়ীকে শনাক্ত করে পুলিশ। পরে তাকে ধরিয়ে দিতে সাড়ে সাত হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
এদিকে দুই বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে রোববার জোহরের নামাজের পর বাফেলো মুসলিম সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন প্রবাসীরা। হত্যাকারীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান তারা।
বাফেলো সিটি মেয়র বাইরেন ডাব্লিউ ব্রাউন এবং পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রেমাগলিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থিত হন এবং কমিউনিটির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশের ঘণ্টা দুয়েক পর সিটির ইস্ট ডেলাভান এবং নর্থ ফর্ক এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে সন্দেহভাজন ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জোড়া খুনের সংবাদ জানার পরপরই নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা নিহতদের স্বজন এবং বাফেলো কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।