হাইতির প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করেছিল সশস্ত্র দলগুলো। এ সময় পুলিশ ও সেনাদের সাথে গ্যাংদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) মার্কিন বার্তা সংস্থা-এপি এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার টাউসাইন্ট লুভারচার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন করে হামলা চালায় গ্যাং দল। ঘটনার পর বিমানবন্দরটিতে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে সবগুলো ফ্লাইট।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া সহিংসতার জেরে হাইতিতে জরুরি অবস্থা ও কারফিউ জারির কয়েক ঘণ্টা পরই নতুন এই হামলার ঘটনা ঘটে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, গ্যাং দল বিমানবন্দরটির দখল নিতে পেরেছে কিনা, তা জানা যায়নি। তবে বিশ্ব গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তাদের সাংবাদিকরা বিমানবন্দরে একটি সাঁজোয়া ট্রাক প্রবেশের চেষ্টা করতে দেখেছে। হামলা সময় বন্দরের কর্মকর্তা ও কর্মীরা পালিয়ে যায়। যাত্রীদেরকেও এদিক সেদিক ছুটোছুটি করতে দেখা যায়। তবে পুলিশ ও সেনারা গ্যাংদের বিমানবন্দর চত্বরে প্রবেশে বাধা দেয়।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের ৮০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ নিতে যাচ্ছে গ্যাংরা। কারণ তারা ক্রমবর্ধমানভাবে তাদের কার্যক্রম সমন্বয় করছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো বিভিন্ন সরকারি ভবনগুলো বেছে নিচ্ছে। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির পদত্যাগ দাবি করেন গ্যাং নেতারা।
পোর্ট-অ-প্রিন্সের দ্রুত অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক।
গত সপ্তাহে হাইতির দুটি কারাগার -একটি পোর্ট-অ-প্রিন্স এবং অন্যটি কাছাকাছি ক্রোয়েক্স ডেস বুকেটে, হামলা চালায় গ্যাংরা। এসময় সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন পুলিশ নিহত হয়। কারাগার থেকে পালিয়ে যায় তিন হাজার ৭০০ বন্দি।