নেত্রকোনায় দ্বিতীয় দফায় পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। গত তিনদিন যাবত বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের প্রকোপ কমে যাওয়ায় নদ-নদীর পানি কমেছে। বসতভিটা ও সড়ক থেকেও পানি নেমে যাচ্ছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, সোমেশ্বরী, কংশ, ধনুসহ সবকয়কটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে বইছে। তবে উদ্ধাখালী নদীর পানি আজও কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। তবে উজানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় জেলার কলমাকান্দা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৬৪ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল হাজারও মানুষ। এসব অঞ্চল থেকে পানি নেমে যাওয়ায় জন দুর্ভোগ অনেকটা কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে।
এদিকে, সিরাজগঞ্জে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের অর্ধলাখ মানুষ। বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্যাকবলিত মানুষেরা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন। পানি উঠে পড়ায় জেলার ৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া টাঙ্গাইলে ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি। উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে নদ-নদীতে আসা তীব্র স্রোতের পানির তোড়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে নদী তীরবর্তী এলাকার গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার সব নদীর পানিই বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।